Supreme Court: নিমিশার প্রাণভিক্ষার আর্জি শুনবে সুপ্রিম কোর্ট, আর কী ঘরে ফেরা হবে?

Nimisha Priya Case: ২০১৭ সালে নিমিশা প্রিয়া ইয়েমেনে তাঁর বিজনেস পার্টনার তালাল আবদো মেহদিকে খুন করেন। অভিযোগ তালাল তাঁর পাসপোর্ট কেড়ে নিয়েছিলেন। সেই পাসপোর্ট উদ্ধার করতেই তালালকে ঘুমের ইঞ্জেকশন দিয়েছিলেন, যা ওভারডোজ হয়ে তালালের মৃত্যু হয়।

Supreme Court: নিমিশার প্রাণভিক্ষার আর্জি শুনবে সুপ্রিম কোর্ট, আর কী ঘরে ফেরা হবে?
নিমিশা প্রিয়ার মামলার শুনানিImage Credit source: TV9 বাংলা

|

Jul 18, 2025 | 12:19 PM

নয়া দিল্লি: ইয়েমেনে বন্দি কেরলের নার্স। ঘাড়ে ঝুলছে মৃত্যুদণ্ডের খাঁড়া। ভারত সরকার নানাভাবে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বন্দি নার্সকে বাঁচানোর। আজ, ১৮ জুলাই সুপ্রিম কোর্টেও শুনানি হতে চলেছে নিমিশা প্রিয়ার মামলার।

সেভ নিমিশা প্রিয়া ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকশন কাউন্সিলের তরফেই মামলা করা হয়েছিল। শীর্ষ আদালতের কাছে আবেদন জানানো হয় যে কূটনৈতিক মধ্যস্থতা করার জন্য টিম নিয়োগ করা হোক যারা নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলবে এবং নিমিশা প্রিয়ার প্রাণভিক্ষা করবে।

এই কাউন্সিলের সদস্য দীনেশ নায়ার বলেন, “নিমিশা প্রিয়ার ছোট মেয়ে ও বয়স্ক মায়ের কথা ভেবে, আমরা সকলের কাছে অনুরোধ করছি তাঁর জীবন বাঁচানোর জন্য।”

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে নিমিশা প্রিয়া ইয়েমেনে তাঁর বিজনেস পার্টনার তালাল আবদো মেহদিকে খুন করেন। অভিযোগ তালাল তাঁর পাসপোর্ট কেড়ে নিয়েছিলেন। সেই পাসপোর্ট উদ্ধার করতেই তালালকে ঘুমের ইঞ্জেকশন দিয়েছিলেন, যা ওভারডোজ হয়ে তালালের মৃত্যু হয়। এরপর নিমিশা তালালের দেহ টুকরো টুকরো করে ট্যাঙ্কে ফেলে দেন। পালানোর চেষ্টা করলেও ধরা পড়ে যান নিমিশা। ২০২০ সালে ইয়েমেনের শরিয়া আইন অনুযায়ী নিমিশাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

নিমিশার বাঁচার একমাত্র উপায় ছিল ব্লাড মানি বা দিয়া। যদি টাকা নিয়ে ক্ষমা করে দেয় নিহত তালালের পরিবার, তাহলেই একমাত্র প্রাণ রক্ষা হবে নিমিশার। তবে তালালের ভাই জানিয়েছেন, তারা ক্ষমা করতে রাজি নন।

নিমিশা প্রিয়া ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকশন কাউন্সিলের তরফে ৬ সদস্যের একটি কূটনৈতিক মধ্যস্থতাকারী টিমের প্রস্তাব দিয়েছে, যাতে অ্যাকশন কাউন্সিলের দুই সদস্য, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তথা কাউন্সিলের লিগাল অ্যাডভাইসর সুভাষ চন্দ্রন কে আর, কাউন্সিল ট্রেজারার কুঞ্জামাদ কুরাচন্দ, মারকাজের দুই সদস্য, মুসলিম স্কলার অ্যাডভোকেট হুসেন সাখাফি, হামিদ এবং কেন্দ্রীয় সরকারের মনোনীত দুই আধিকারিক যারা মধ্যস্থতা করবেন।

দীনেশ নায়ার বলেন, “আমরা আশাবাদী যে সুপ্রিম কোর্ট আমাদের পক্ষে রায় দেবে। নিহতের পরিবারের সঙ্গে মধ্যস্থতা করে, নিমিশার জন্য ক্ষমা জোগাড় করে আনবে।”