নয়া দিল্লি: করোনা সংক্রমণের ভয়ে ডিজিটাল স্ক্রিনে বন্দি হয়েছিল আদালতের শুনানিও। চলতি মাস থেকে দেশজুড়ে দ্বিতীয় দফার টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হতেই অনলাইন মাধ্যম থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শনিবার শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়, আগামী ১৫ মার্চ থেকে সুপ্রিম কোর্টের শুনানি হবে ‘হাইব্রিড মোড’ (Hybrid Mode)-এ, অর্থাৎ আইনজীবীরা অনলাইন মাধ্যমের পাশাপাশি চাইলে সশরীরে উপস্থিত থাকতেও পারেন।
এদিন শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়, ১৫ মার্চ থেকে প্রতি মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার যে মামলাগুলির চূড়ান্ত শুনানি হওয়ার কথা, তা অনলাইন (Online) ও অফলাইন (Offline)-দুই মাধ্যমেই করা হবে। আইনজীবীরা সশরীরে উপস্থিত থাকতে চান নাকি বাড়ি থেকেই আদালতের কার্যাবলীতে যোগ দিতে চান, তার সিদ্ধান্ত নিজেরাই নিতে পারবেন।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রির তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়, “আপাতত পাইলট প্রকল্প হিসাবে পরীক্ষামূলকভাবে প্রতি মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার হাইব্রিড মোডে আদালতের শুনানি প্রক্রিয়া করা হবে। তবে কোর্ট রুমের আয়তন, দুই পক্ষের তরফে উপস্থিত ব্যক্তি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি বিবেচনা করেই মাননীয় বিচাারপতিদের বেঞ্চ এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।”
আরও পড়ুন:ভাইঝিকে অপহরণ করে প্রেমিকের সঙ্গে হোটেলে রাত্রিবাস, গ্রেফতার পিসি
বাকি দিনগুলি, অর্থাৎ সোমবার ও শুক্রবার ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমেই আপাতত শুনানি প্রক্রিয়া চলবে। আদালতের তরফে বলা হয়েছে, করোনা পরিস্থিতির মাঝে টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হতেই এই পন্থা গ্রহণ করা হয়েছে, তবে সম্পূর্ণ বিষয়টিই পরীক্ষামূলক। আগামিদিনে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ইতিমধ্যেই বর্তমান ও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এবং তাঁদের পরিবারকে টিকাকরণের ব্যবস্থা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। চলতি সপ্তাহ থেকেই বিচারপতিদের টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ দিকে, দিল্লির বার কাউন্সিলের প্রতিনিধিরাও সম্প্রতি টিকাকরণের দাবি তুলেছিলেন। দিল্লি আদালতের তরফে একটি স্বতপ্রণোদিত মামলাও রুজু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অম্বানী ভবন কাণ্ড: মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিতে কী লিখেছিলেন মালিক?