Election Commission Appointment: ঐতিহাসিক রায়, নির্বাচন কমিশনের নিয়োগে এবার প্রধানমন্ত্রী-বিরোধী দলনেতা-প্রধান বিচারপতির প্যানেল
Election Commission Appointment: যে প্রক্রিয়া সিবিআই-এর প্রধান নিয়োগ হয়, সেই প্রক্রিয়াতেই নিয়োগ করার আবেদন জানানো হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে।

নয়া দিল্লি: নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) উচ্চপদে নিয়োগ আরও স্বচ্ছ হওয়া প্রয়োজন। এই দাবি নিয়ে মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। বৃহস্পতিবার সেই মামলায় ঐতিহাসিক রায় দিল শীর্ষ আদালত। আদালতের রায়, এক বিশেষ প্যানেল মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচনী আধিকারিকদের নিয়োগ করবে। সেই প্যানেলে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা ও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। ‘নির্বাচনের স্বচ্ছতা বজায়’ রাখতেই এই রায় বলে উল্লেখ করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের তরফে।
বৃহস্পতিবার পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। সেই রায়ে বলা হয়েছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ও আরও দুই নির্বাচনী আধিকারিক যাঁরা দেশ জুড়ে ভোটের দায়িত্ব থাকবেন, তাঁদের নিয়োগ হবে নয়া নিয়মে। তিন সদস্যের প্যানেলের অনুমোদন নিয়ে তাঁদের নিয়োগ করবেন দেশের রাষ্ট্রপতি।
সাংবিধানিক বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘নির্বাচন অবশ্যই স্বচ্ছ হওয়া উচিত। নির্বাচন কমিশনকে সেই স্বচ্ছতা বজায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।’ আরও বলা হয়েছে, ‘গণতন্ত্রে স্বচ্ছ নির্বাচন হওয়া জরুরি, নাহলে তার ফল ধ্বংসাত্মক হতে পারে।’ তাই সিবিআই প্রধান নিয়োগের পদ্ধতিতেই নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করার কথা বলা হয়েছে আদালতের রায়ে। এতদিন পর্যন্ত এই তিন আধিকারিকের নিয়োগ করতেন রাষ্ট্রপতি। প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশ মেনেই নিয়োগ করা হত। সাধারণত প্রাক্তন আমলাদের এই পদে নিয়োগ করা হয়।
এই নিয়োগের সংস্কার চেয়ে একাধিক আবেদন এসেছিল বিচারপতি কেএম জোসেফ, বিচারপতি অজয় রাস্তোগী, বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু, বিচারপতি হৃষিকেশ রায়, বিচারপতি সিটি রবিকুমারের বেঞ্চে। এই বেঞ্চের তরফে উল্লেখ করা হয়েছে, এতদিন পর্যন্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় এলেও নির্বাচন কমিশনে নিয়োগের নিয়মে কোনও সংস্কার আনার কথা বলেনি কেউ।
