পুণে: শুক্রবার পুণে রেলওয়ে স্টেশনের কাছে একটি পরিত্যক্ত বাক্স ঘিরে শোরগোল পড়ে যায়। জিআরপি জানিয়েছে, পরিত্যক্ত ব্যাগটি দেখতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এলাকা খালি করে দেওয়া পাশাপাশি বোম্ব ডিটেকশন অ্যান্ড ডিজ়পোসাল স্কোয়াডকে খবর দেওয়া হয়েছিল। বোম্ব স্কোয়াড ঘটনাস্থলে পৌঁছাতেই সন্দেহজনক বাক্সটিকে পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ব্যাগটি খুলেই সেখানে থাকা সামগ্রী পরীক্ষা করা হয়। জিআরপির সুপার সদানন্দ ওয়েজ পাতিল জানিয়েছেন, “বাক্স থেকে বস্তু পাওয়া গিয়েছে তা কোনওভাবেই জিলেটিন স্টিক নয়। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে ব্যাগে থাকা সামগ্রী আতসবাজি। পুণে পুলিশ ও জিআরপির বোম্ব স্কোয়াড বাক্সটিকে স্টেশনের বাইরে নিয়ে গিয়েছিল এবং বাক্সে থাকা সামগ্রী পরীক্ষা করে দেখেছে।” পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, সন্দেহজনক বাক্সটি ওয়েটিং রুমের বাইরে রাখা ছিল। বাক্সটি দেখামাত্র আরপিএফ কর্মীরা সকলকে সতর্ক করেন।
বোম্ব স্কোয়াডের একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, তিনি আতসবাজির টিউব একসঙ্গে বেঁধে রাখা ছিল। ‘কোনও ডিটোনেটর বা বিস্ফোরক পদার্থ ছিল না। আমরা এটিকে নিষ্ক্রিয় করে দেব।’ বাক্সটিকে খুঁজে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুণে রেলওয়ে স্টেশন খালি করে দেওয়া হয়। সাময়িকভাবে ট্রেন চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। উরানে গতকাল এমন ঘটনা ঘটেছিল। বৃহস্পতিবার সকালে উরানের কেগাঁও সমুদ্র সৈকতে সন্দেভাজন পদার্থকে বিস্ফোরক সন্দেহে স্থানীয় বাসিন্দারা ভিড় জমিয়েছিলেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরীক্ষা করে জানায় যে ওটি বিস্ফোরক নয় বরং ফ্লেয়ারের পোড়া অংশ। সাধারণভাবে সঙ্কেত দেওয়ার জন্য ফ্লেয়ার গান ব্যবহার করা হয়। সেনাবাহিনী অথবা জাহাজকে সিগন্যাল দেওয়ার জন্য এই বন্দুক ব্যবহারের চল রয়েছে।