TMC’s Planning on Parliament: বরখাস্তের সিদ্ধান্তেই অনড় নাইডু, গোটা অধিবেশন জুড়েই ধর্ণায় বসবেন দোলা-শান্তা

AITMC: চলতি বছরের বাদল অধিবেশনে কেন্দ্রের কৃষি আইন নিয়ে দীর্ঘতর সময় আলোচনা চেয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন বিরোধীরা। ওই ইস্যুতে আলোচনার জন্য কেন কম সময় দেওয়া হল, সেই প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিরোধী সাংসদেরা। কেউ আলো কাপড় উড়িয়ে দেন, কেউ ফাইল ছুড়ে দেন রাজ্যসভায়।

TMC's Planning on Parliament: বরখাস্তের সিদ্ধান্তেই অনড় নাইডু, গোটা অধিবেশন জুড়েই ধর্ণায় বসবেন দোলা-শান্তা
ছবি: ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 01, 2021 | 12:50 PM

নয়া দিল্লি: বাদল অধিবেশনে সংসদে বিশৃঙ্খলা তৈরির শাস্তি মিলছে শীতকালীন অধিবেশনে। সোমবার রাজ্যসভার ১২ সাংসদকে বরখাস্ত করা হয় বাদল অধিবেশনে বিশঙ্খলা তৈরির জন্য। বিরোধীদের তরফে সাংসদদের উপর থেকে সাসপেনশনের নোটিস তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানানো হলেও, ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যেক সাংসদ ক্ষমা না চাওয়া অবধি বরখাস্তের সিদ্ধান্ত তুলে নিতে নারাজ রাজ্য়সভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবার ধর্ণায় বসার সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল কংগ্রেস।

এ দিন দলের তরফে জানানো হয়েছে, সাসপেনশন তুলে নেওয়ার দাবিতে আজ থেকে আগামী ২৩ ডিসেম্বর অর্থাৎ সংসদ অধিবেশনের শেষদিন অবধি তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন ও শান্তা ছেত্রী রোজ গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্ণায় বসবেন। প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে সন্ধে ৬টা অবধি তারা ধর্ণায় বসে থাকবেন। শুধুমাত্র সাসপেন্ড হওয়া সাংসদরাই নয়, অধিবেশনে যোগ দিতে আসা বাকি তৃণমূল সাংসদরাও অধিবেশন চলাকালীন প্রতিদিন  বরখাস্ত হওয়া ১২ সাংসদকে সমর্থন জানিয়ে ধর্ণাস্খলে যাবেন এবং তাদের পাশে দাঁড়াবেন।

চলতি বছরের বাদল অধিবেশনে কেন্দ্রের কৃষি আইন নিয়ে দীর্ঘতর সময় আলোচনা চেয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন বিরোধীরা। ওই ইস্যুতে আলোচনার জন্য কেন কম সময় দেওয়া হল, সেই প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিরোধী সাংসদেরা। কেউ আলো কাপড় উড়িয়ে দেন, কেউ ফাইল ছুড়ে দেন রাজ্যসভায়। অনেকে টেবিলের ওপর উঠে পড়েন। চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় সংসদে। বিরোধীদের আচরণ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছিলেন বেঙ্কাইয়া নাইডুর, তাঁর চোখে জল চলে এসেছিল।

সেই আচরণের জেরেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয় শীতকালীন অধিবেশনে, গোটা অধিবেশন জুড়ে সাসপেন্ড করা হয় ১২ সাংসদকে। এরপরই প্রতিবাদে সরব হয় বিরোধীরা। কিন্তু রাজ্যসভার চেয়ারম্যান সাফ জানিয়ে দেন, সাসপেন্ড হওয়া ১২ জন যদি ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমা চান, তবেই এই সাসপেন্ড হওয়ার নোটিস তুলে নেওয়া হবে।

গতকাল ১৪টি বিরোধী দলের তরফে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার জন্য আবেদন জানিয়ে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়। যদিও সেই ১৪টি বিরোধী দলের মধ্যে ছিল না তৃণমূল কংগ্রেস। সাংসদদের বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আর্জি জানিয়ে বেঙ্কাইয়া নাইডুর সঙ্গেও দেখা করেন কংগ্রেস সহ বিরোধী নেতারা। তাঁদের নেতৃত্বে ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গে। কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তেই অনড় থাকেন চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু।

আজ সকাল ১০টা থেকেই কংগ্রেস সহ ১৪টি বিরোধীদল গান্ধীমূর্তির পাদদেশে লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদরা বরখাস্ত হওয়া সাংসদদের শাস্তি প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। প্রথমে তৃণমূল কংগ্রেস এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ না দিলেও, পরে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে যখন বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়, তখন তৃণমূলের তরফে দোলা সেন, শান্তা ছেত্রী, মহুয়া মৈত্র সহ একাধিক সাংসদ ওই বিক্ষোভে সামিল হন।

তবে কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলি সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের শাস্তি প্রত্য়াহারের দাবিতে অধিবেশন বয়কটের প্রস্তাব দিলেও তৃণমূল সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি। দোলা সেন ও শান্তা ছেত্রী গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখালেও, বাকি সাংসদরা লোকসভা ও বিধানসভার আলোচনায় যোগ দেবেন বলেই জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: International Passengers Tested COVID Positive: দেশে বাড়ছে ওমিক্রনের ভয়! করোনা আক্রান্ত ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ দেশ থেকে আগত ৬ যাত্রী