হৃষিকেশ: শান্তি ও আধ্যাত্মিকতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাশ্মীর যাত্রা শুরু করছেন মহামণ্ডলেশ্বর অনন্ত বিভূষিত স্বামী শ্রী নারায়ণ ননাদ গিরিজি মহারাজজি ও তাঁর অনুগামীরা। এই যাত্রা উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা, পঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশের মধ্য দিয়ে জম্মু ও কাশ্মীর পৌঁছবে। রবিবার উত্তরাখণ্ডের হৃষিকেশের শিবপুরী (Shivpuri) এলাকা থেকে শান্তি ও আধ্যাত্মিকতার লক্ষ্যে কাশ্মীর যাত্রার সূচনা হল। লক্ষাধিক বৃক্ষ রোপণের উদ্দেশ্যে তাঁদের চারাগাছ উৎসর্গ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী (Uttarakhand Minister) প্রেমচন্দ্র আগরওয়াল ও স্থানীয় মেয়র (Mayor) অনিতা মামগাইন।
মহামণ্ডলেশ্বর অবধূত আনন্দ অরুণ গিরি মহারাজজি-র হৃদয় যেন চিরসবুজ এবং পরিবেশের জন্য নিবেদিত। পরিবেশের শান্তির জন্য তিনি প্রায়ই যজ্ঞের আয়োজন করেন। সেজন্য জনগণের কাছে ‘পরিবেশ বাবা’ হিসাবে পরিচিত তিনি। পরিবেশ রক্ষার বার্তা নিয়ে এবং শান্তি ও আধ্যাত্মিকতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এবার কাশ্মীর সফরে যাচ্ছেন তিনি। নারায়ণ গিরিজি মহারাজ বলেন, এই যাত্রা উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ এবং জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যে পৌঁছবে। যাত্রা চলাকালীন পথে বৃক্ষ রোপণের জন্য উত্তরাখণ্ড উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মন্ত্রী প্রেমচন্দ্র আগরওয়াল এবং হৃষিকেশের মেয়র অনিতা মামগাই ১ লক্ষ ৮টি চারা উৎসর্গ করেছেন।
এদিন যাত্রা শুরুর আগে মহারাজজি আরও জানান, তাঁরা সেই সাহসী সৈনিকদের আন্তরিকভাবে স্মরণ করেছেন, যাঁরা দেশের জন্য চূড়ান্ত আত্মত্যাগ করেছেন। তীর্থযাত্রা শেষে তাঁরা পবিত্র গঙ্গা নদী থেকে ১ হাজার ৮টি কলসি জল দিয়ে অভিষেক করবেন বলেও জানান মহারাজজি।
তিনি বলেন, প্রভুর কাছে প্রার্থনা করেছি যে, এই কাশ্মীর যাত্রা শান্তি নিয়ে আসুক, সংহতির বন্ধনকে লালন করে এবং কৃতজ্ঞতার চিরন্তন শিখা জ্বালিয়ে দিক।