Baba Ramdev: উচ্চ রক্তচাপ কমাতে এই যোগাসনগুলি করতেই হবে, পরামর্শ দিচ্ছেন বাবা রামদেব
Baba Ramdev: ক্রমাগত উচ্চ রক্তচাপ শরীরের শিরাগুলিকে শক্ত করে তোলে, যা হৃদপিণ্ডকে আরও বেশি কাজ করতে বাধ্য করে। এই অবস্থার ফলে হার্ট অ্যাটাক, মস্তিষ্কের স্ট্রোক, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস এমনকী কিডনির ক্ষতিও হতে পারে। প্রাথমিকভাবে, এর লক্ষণগুলি হালকা। মাথাব্যথা, ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট বা অস্থিরতাকে লোকেরা প্রায়শই উপেক্ষা করে।

নয়া দিল্লি: উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আজকাল ঘরে ঘরে। রক্তচাপ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হতে শুরু করলে ক্রমাগত উচ্চরক্তচাপ হৃদপিণ্ড, কিডনি এবং মস্তিষ্কের উপর চাপ সৃষ্টি করে। সময়মতো নিয়ন্ত্রণ না করা হলে এটি হৃদরোগ, স্ট্রোক বা কিডনি বিকল করার মতো গুরুতর সমস্যা তৈরি করতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, বাবা রামদেবের পরামর্শ দেওয়া কিছু সহজ যোগাসন উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে উপকারী।
উচ্চ রক্তচাপের প্রধান কারণগুলির মধ্যে রয়েছে মানসিক চাপ, স্থূলতা, অতিরিক্ত নুন খাওয়া, ধূমপান করা, অ্যালকোহল পান করা, খারাপ জীবনধারা এবং জিনগত কারণ। ক্রমাগত উচ্চ রক্তচাপ শরীরের শিরাগুলিকে শক্ত করে তোলে, যা হৃদপিণ্ডকে আরও বেশি কাজ করতে বাধ্য করে। এই অবস্থার ফলে হার্ট অ্যাটাক, মস্তিষ্কের স্ট্রোক, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস এমনকী কিডনির ক্ষতিও হতে পারে। প্রাথমিকভাবে, এর লক্ষণগুলি হালকা। মাথাব্যথা, ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট বা অস্থিরতাকে লোকেরা প্রায়শই উপেক্ষা করে।
এই যোগাসনগুলি উচ্চ রক্তচাপের জন্য উপকারী।
অনুলোম বিলোম:
বাবা রামদেব ব্যাখ্যা করেছেন যে এটি সবচেয়ে কার্যকর প্রাণায়মগুলির মধ্যে একটি। এতে উভয় নাকের ছিদ্র দিয়ে পর্যায়ক্রমে শ্বাস নেওয়া এবং ত্যাগ করা হয়। এতে মন শান্ত হয় এবং শিরায় রক্ত প্রবাহে ভারসাম্য আসে। নিয়মিত অনুশীলন করলে চাপ, উদ্বেগ এবং বিরক্তি কমে। ফলে রক্তচাপ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে যায়।
ভ্রামরী প্রাণায়াম:
এই যোগব্যায়াম মানসিক শান্তি দেয় এবং স্নায়ুতন্ত্রকে শিথিল করে। চাপ কমলে স্বাভাবিকভাবেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত হয়।
কপালভাতি প্রাণায়াম:
এটি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ করে এবং রক্ত সঞ্চালন ভাল করে। এটি প্রতিদিন করলে হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা বাড়ে।
সূর্য নমস্কার:
এতে পুরো শরীরের ব্যায়াম হয়। এটি পেশীগুলিকে সক্রিয় করে এবং সুষম রক্তচাপ বজায় রাখতে সাহায্য করে।
যোগিক জগিং:
মৃদু গতিতে করা এই ব্যায়াম রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং চাপ কমায়, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
এছাড়াও যে দিকগুলিতে নজর দিতে হবে:
লবণ এবং ভাজা খাবার না খাওয়া উচিত নয়।
প্রতিদিন কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমোতে হবে।
সকাল বা সন্ধ্যায় নিয়মিত যোগব্যায়াম এবং ধ্যান অনুশীলন করতে হবে।
চাপ কমাতে গান শুনুন বা ধ্যান করুন।
নিয়মিত আপনার রক্তচাপ পরীক্ষা করুন।
এই সহজ রুটিন এবং যোগব্যায়াম অনুশীলন কেবল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখবে না বরং শরীর ও মন উভয়কেই সুস্থ রাখবে।
