Congress-DMK: কাবেরীর ভাগ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি স্ট্যালিনের, জোটসঙ্গী কংগ্রেসের বিরুদ্ধেই নালিশ!

Cauvery River: এমকে স্ট্যালিন চিঠিতে উল্লেখ করেছেন যে সুপ্রিম কোর্টের তরফে কাবেরী নদীর জলবন্টন স্থির করে দেওয়া হয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কর্নাটক সরকার সেই নিয়ম মানছে না। 

Congress-DMK: কাবেরীর ভাগ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি স্ট্যালিনের, জোটসঙ্গী কংগ্রেসের বিরুদ্ধেই নালিশ!
কাবেরীর জল নিয়ে কর্নাটক-তামিলনাড়ুর বিবাদ।Image Credit source: TV9 বাংলা

| Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Aug 04, 2023 | 4:15 PM

নয়া দিল্লি: জোটসঙ্গী আগেই ছিল। লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ বানিয়ে আরও কাছাকাছি এসেছে কংগ্রেস (Congress) ও দ্রাবিড় মুন্নেত্রা কাজ়াকম বা ডিএমকে (DMK)। তামিলনাড়ুতে শাসক দলের ক্ষমতায় রয়েছে এমকে স্ট্যালিনের দল ডিএমকে। এদের জোটসঙ্গী কংগ্রেস। সম্প্রতিই বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া'(INDIA)-রও অন্যতম দুই সদস্য হল এই দুই দল। বিজেপিকে হারাতে যেখানে একজোট হয়েছে দুই দল, সেখানেই আবার জল বন্টন নিয়েই বিরোধ বাধল কংগ্রেস-ডিএমকের মধ্যে। কাবেরী নদীর জল বন্টনের সমস্যা মেটাতে প্রতিবেশী রাজ্য কর্নাটকের সঙ্গে কথা না বলে, সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)-কে চিঠি লিখলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন (MK Stalin)।

জানা গিয়েছে, সম্প্রতিই তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লেখেন। সেই চিঠিতে তিনি সরাসরি কাবেরী নদীর জল বন্টন নিয়ে কর্নাটক সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। তাঁর অভিযোগ, কর্নাটক সরকার মেত্তুর রিজার্ভার থেকে কাবেরী নদীর জল না ছাড়ায়, তামিলনাড়ুর কৃষকরা চরম সমস্যায় পড়েছেন। বিশেষ করে, কাবেরী নদীর বদ্বীপে কুরুভাই চাষের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে কারণ এখানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ খুবই কম। ফলে মেত্তুর রিজার্ভার থেকে ছাড়া জলের উপরই নির্ভর করতে হয়।

এমকে স্ট্যালিন চিঠিতে উল্লেখ করেছেন যে সুপ্রিম কোর্টের তরফে কাবেরী নদীর জলবন্টন স্থির করে দেওয়া হয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কর্নাটক সরকার সেই নিয়ম মানছে না।  ১ জুন থেকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে যেখানে কর্নাটক সরকারের ৪০ হাজার কিউসেক  জল ছাড়ার কথা ছিল, সেখানে মাত্র ১১ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এই বিষয়ে গত ৫ জুলাই কেন্দ্রীয় জল শক্তি মন্ত্রীকে জানানো হয়েছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।

জলবন্টনের এই সমস্যা মেটানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আর্জি জানানো নিয়েই এবার রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। সমালোচকদের বক্তব্য, শুধুমাত্র নরেন্দ্র মোদীর প্রতি ঘৃণা থেকে কংগ্রেস ও ডিএমকে একজোট হয়েছে। এই দুই দল নিজেদের মধ্যে সমস্যা মেটাতে পারছে না বলে প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য চাইছে। যারা নিজেদের সমস্যাই মেটাতে পারে না, তারা কীভাবে দেশের মানুষের সমস্যা মেটাবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।