
চেন্নাই: তাঁকে দেখতে এসে, তাঁর কথা শুনতে এসেই আর ফেরা হল না। উৎসবের দিনে মর্মান্তিক ঘটনা। দক্ষিণী অভিনেতা বিজয়ের জনসভায় পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৩৮ জনের। আহত আরও অনেকে। এই ঘটনায় শোকাতুর অভিনেতা তথা টিভিকে-র সভাপতি বিজয়। তাঁর হৃদয় দুঃখ-কষ্টে ভেঙে গিয়েছে, ভীষণ যন্ত্রণায় রয়েছেন বলেই জানিয়েছেন।
বিজয়ের জনসভায় কমপক্ষে ৩০ হাজার মানুষের সমাগম হয়েছিল। সকলেই একবার দেখতে চেয়েছিলেন তাদের প্রিয় অভিনেতাকে। শনিবার, তামিলনাড়ুর কারুরে বিজয়ের বাস প্রবেশ করার পরই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। থামিয়ে দেওয়া হয় সভা। কারুর ছেড়ে চলে যান বিজয়। কিছুক্ষণ পর তাঁকে চেন্নাই বিমানবন্দরে দেখা যায়, কিন্তু তখন তিনি কিছু বলতে চাননি।
পরে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে বিজয় লেখেন, “আমার হৃদয় টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছে। অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টে রয়েছি আমি যা শব্দ দিয়ে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। আমার ভাই-বোনেরা যারা কারুরে প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।”
গতকাল দুপুরেই কারুরে পৌঁছনোর কথা ছিল টিভিকে-র প্রধান বিজয়ের। কিন্তু তিনি প্রায় ৬ ঘণ্টা দেরিতে পৌঁছন। ততক্ষণে মাত্রাতিরিক্ত ভিড় হয়ে গিয়েছিল। প্রচারের জন্য যে বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছিল, সেই বাসও এগোতে পারছিল না। বাসের ছাদ থেকেই বক্তব্য রাখতে শুরু করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটে।
এদিকে, রাজ্যের শাসক দল ডিএমকে অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের দিকই আঙুল তুলেছে। ডিএমকে-র মুখপাত্র সর্বানন আন্নাদুরাই বলেছেন, “এটা অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের ষড়যন্ত্র। বিজয় স্পষ্টভাবে জানিয়েছিল যে একটা নির্দিষ্ট সময়েই অনুষ্ঠান শুরু হবে, কিন্তু তা হয়নি। এত জনতা প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছিলেন। ভিড় জমানোর জন্যই এটা করা হয়েছিল। এটা উদ্যোক্তাদের নোংরা পরিকল্পনা। যারাই এর জন্য দায়ী, তাদের গ্রেফতার করতে হবে। মিস্টার বিজয়ও অপরাধী, তিনি নিজেকে নির্দোষ বলতে পারেন না।”
তামিলনাড়ু সরকারের তরফে মৃতদের পরিবার পিছু ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করা হয়েছে।