
শ্রীনগর: বৈসরনের বধ্যভূমিতে সে দিন ছিল না কোনও পুলিশ, কোনও সিআরপিএফ। আর সেই সুযোগটাই বেছে নিয়েছিল জঙ্গিরা। এমনটাই বলছেন পাহেলগাঁও-এর এক নম্বর ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের চেয়ারম্যান আদিল ফারুক। তাঁর দাবি, জঙ্গিরা সে দিন পালানোর জন্য অন্তত ২৫ থেকে ৩০ মিনিট সময় পেয়েছিল। ওই দিন দুপুরে তাঁর কাছে এসেছিল ফোন।
জানা গিয়েছে, পহেলগাঁও থানার এসএইচও (SHO) রিয়াজ আহমেদ সে দিন প্রথম পৌঁছন উপরের উপত্যকায়। আদিল ফারুক জানান, ঘটনার দিন দুপুরে তিনি বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। হঠাৎ SHO-র ফোন যায় তাঁর কাছে। তাঁকে বলা হয়, অল টেরেন ভেইকল বা ATV নিয়ে উপরে উঠতে হবে। এরপরই ছুটে যান তাঁরা।
মোট ১৪টি ATV নিয়ে তাঁরা ওপরে ওঠেন। প্রায় ১৫ জন পুলিশকর্মী নিয়ে আদিলরাই প্রথম বাইরে থেকে পৌঁছন ওই ভ্যালিতে। আরও ৩০ মিনিট পর সেখানে পৌঁছয় সিআরপিএফ। আদিলের দাবি, দিনে ৩ থেকে ৪ হাজার পর্যটক যান ওপরে ওই উপত্যকায়। এমন ঘটনার কথা ভাবতেও পারেন না তাঁরা। এত বছরে কখনও ঘটেনি এমন।
তিনি আরও জানিয়েছেন, আগে ওই উপত্যকায় সেনা ছাউনি ছিল। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ায় সেনা ছাউনি সরিয়ে দেওয়া হয়।
বর্তমানে বৈসরনে পাঁচ কিলোমিটার ব্যাসার্ধ জুড়ে অপারেশন চলছে। নাইট ভিশন ড্রোন, কুকুর নিয়ে জঙ্গলে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। বৈসরন এবং পহলগাঁওয়ের কয়েকটি এলাকার টাওয়ার ডাম্প করা হয়েছে।