চেন্নাই: স্কুলে পড়ার সময় থেকেই দুজনে ভাল বন্ধু ছিলেন। বন্ধুত্ব এতটাই গভীর হয়ে উঠেছিল যে, প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর বান্ধবীকে বিয়ে করতে লিঙ্গ পরিবর্তন করতে শুরু করেন সহপাঠী। কিন্তু, সম্প্রতি সেই বান্ধবী অন্য পুরুষের প্রতি আকৃষ্ট হন। ফলে প্রাক্তন সহপাঠীকে বিয়ে করতে চাননি। সেই রাগে জন্মদিনের আগের রাতেই জীবন্ত দগ্ধ হয়ে খুন হলেন ২৪ বছরের তরুণী। ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটেছে চেন্নাইয়ে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত তরুণীর নাম আর ননধিনী (২৪)। দক্ষিণ চেন্নাইয়ের কেলামবাক্কামের রাছে থালাম্বুরের বাসিন্দা ননধিনী পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তাঁর গায়ে পেট্রোল ঢেলে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে ননধিনীর প্রাক্তন সহপাঠী ২৬ বছর বয়সি ভার্টিমারান ওরফে পান্ডি মাহেশ্বরীর বিরুদ্ধে।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, ননধিনী ও মাহেশ্বরী মাদুরাইয়ে একসঙ্গে পড়াশোনা করতেন। দুজনে একসঙ্গে একটি আইটি ফার্মে কাজ করতেন। ননধিনীকে বিয়ে করার জন্য ভার্টিমারান নাম পরিবর্তন করেন পান্ডি মাহেশ্বরী। লিঙ্গও পরিবর্তনের জন্য চিকিৎসার মধ্য দিয়েও যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু, সম্প্রতি ননধিনী অন্য ছেলের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন। যা সহ্য করতে পারেননি ভার্টিমারান। এরপর বার্থ ডে সেলিব্রেশনের প্রলোভন দেখিয়ে ননধিনীকে তাঁর জন্মদিনের আগের রাতে ভার্টিমারান ডেকে নিয়ে গিয়ে ভার্টিমারান চেইন দিয়ে বেঁধে গায়ে পেট্রোল জীবন্ত পুড়িয়ে মারেন বলে অভিযোগ। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা ননধিনীকে চেইন বাঁধা দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে খবর পেয়েই পুলিশ ননধিনীকে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠায়। কিন্তু, বাঁচানো যায়নি। হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়। ননধিনীকে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগে ভার্টিমারানকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে জেল হেফাজতে ভার্টিমারান।