হায়দরাবাদ: একদিকে বিহার(Bihar), অন্যদিকে তেলঙ্গনা (Telangana)। দুই রাজ্যের রাজনীতির প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ আলাদা। তবে হঠাৎ করেই তেলঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও(K Chandrashekhar Rao)-র সঙ্গে লালু পুত্র তেজস্বী যাদব (Tejashwi Prasad Yadav) দেখা করায় নয়া সমীকরণ নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। দুদিন আগেই বাম নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তেজস্বী যাদব। তারপরই হঠাৎ তিনি মঙ্গলবার হায়দরাবাদে (Hyderabad) তেলঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন।
দেশজুড়েই বিভিন্ন রাজ্যে দেখা যাচ্ছে নতুন নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ। কোথাও ভোটের আগে বিরোধী দলগুলি হাত মেলাচ্ছে, কোথাও আবার জোটসঙ্গী পরিবর্তন হচ্ছে। এরমধ্যে তেলঙ্গনা রাষ্ট্রীয় সমিতি বা টিআরএস বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বিজেপি বিরোধীর পাশাপাশি এই দল কংগ্রেস বিরোধী হিসাবেও পরিচিত। দুটি বড় রাজনৈতিক শিবিরেরই বিরোধী হয়েও যেভাবে বছরের পর বছর যেভাবে ক্ষমতা ধরে রেখেছে, তা বিশেষ উল্লেখযোগ্য।
অন্যদিকে, বিহারেও শাসক পদে রয়েছে এনডিএ-র নেতৃত্বে জেডিইউ জোট। গত বিধানসভা নির্বাচনে আরজেডি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাধলেও, সেই জোট কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছিল। সেই কারণেই কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের আর কোনও সম্ভাবনা নেই, এ কথা সাফ জানিয়ে দিয়েছে আরজেডি। আরজেডির নতুন জোটসঙ্গী কে হবে, তা নিয়ে জল্পনা চলছে দীর্ঘদিন ধরেই, এবার সেই জল্পনায় আরও রঙ চড়ালেন খোদ তেজস্বীই!
তেলঙ্গনা প্রশাসনের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, “বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের পুত্র তথা বিহার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ও আরজেডি অন্য়তম নেতা জেজস্বী প্রসাদ যাদব মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের সঙ্গে প্রগতি ভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ সারেন।”
সরকারিভাবে এই সাক্ষাতকে কেবল সৌজন্য সাক্ষাৎ বলেই অ্যাখ্যা দেওয়া হলেও, সূত্রের খবর উত্তর প্রদেশ, পঞ্জাব সহ বড় রাজ্য়গুলিতে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই দুই দলের নেতাদের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তেজস্বী যাদবের পাশাপাশি বিহারের প্রাক্তন মন্ত্রী আব্দুল বারি সিদ্দিকি সহ একাধিক আরজেডি নেতাও উপস্থিত ছিলন বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, কেবল তেজস্বীই নয়, এর দু’দিন আগে সিপিআই ও সিপিআই(এম) নেতাদের সঙ্গেও দেখা করেন তেলঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী। সেই সাক্ষাতকেও সৌজন্য সাক্ষাতই বলা হয়েছিল।