পটনা: খেলা এখনও বাকি, এমনটাই দাবি করলেন আরজেডি নেতা তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। যে কোনো মুহূর্তে বিহারের মহাগঠবন্ধন সরকার পড়ে যেতে পারে। জোট বদলে, এনডি-তে ফিরে যেতে পারেন নীতীশ কুমার। এরই মধ্যে, শনিবার (২৭ জানুয়ারি), তেজস্বী যাদবের ডাকে পটনায় আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবের বাড়িতে এক জরুরি বৈঠকে মিলিত হন আরজেডি নেতারা। বৈঠকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব এবং তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবী ছাড়াও, প্রায় সকল বিধায়ক ও অন্যান্য পদস্থ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে অসম্মানজনক কিছু বলা থেকে দলের নেতাদের বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তেজস্বী।
অনেক কিছুই আছে, যা বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে’ বলে জানান তিনি। তেজস্বী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার সম্মানীয় হ্যক্তি ছিলেন এবং এখনও আছেন। এমন অনেক পরিবর্তনশীল জিনিস আছে, যা তাঁর নিয়ন্ত্রণে নেই। মহাগঠবন্ধনে আরজেডির মিত্ররা সর্বদা মুখ্যমন্ত্রীকে সম্মান করে।” সূত্রের খবর, গত কয়েকদিনে রাজ্যে বেশ কয়েকটি আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটেছে বলেও জানান তেজস্বী। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আমার সঙ্গ মঞ্চে বসে জিজ্ঞেস করতেন, ২০০৫ সালের আগে বিহারে কী ছিল? আমি কখনই এক কোনও প্রতিক্রিয়া দিইনি। এখন, আরও অনেক লোক আমাদের সঙ্গে আছেন। গত দুই দশকে যে যে কাজ বাকি রয়ে গিয়েছিল, আমরা অল্প সময়ের মধ্যেই তা সম্পন্ন করতে পেরেছি। চাকরি, আদমশুমারি, সংরক্ষণ বৃদ্ধির মতো কাজ করা হয়েছে।”
বৈঠকের পর, তেজস্বী বলেন, “আমরা ওদের সরকার গঠন করতে দেব না। এবার আমরা পুরোপুরি তৈরি।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ‘মহাগঠবন্ধনে’ জোটের প্রধান শরিক দল হল আরজেডি। ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় আরজেডির বিধায়ক রয়েছে ৭৯ জন। আর বিজেপির বিধায়ক আছে ৭৮ জন। জেডিইউ-এর বিধায়ক সংখ্যা ৪৫। এছাড়া মহাগঠবন্ধনের বাকি শরিক দল – কংগ্রেসের ১৯ জন, সিপিআই (এম-এল)-এর ১২ জন, সিপিআই(এম) এবং সিপিআই-এর ২ জন করে বিধায়ক রয়েছে। এছাড়া, হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা (সেকুলার)-এর হাতে চার জন এবং এআইমিমের হাতে একজন বিধায়ক আছে। আরেকজন নির্দল বিধায়ক। অর্থাৎ, মহাগঠবন্ধন থেকে জেডিইউ বেরিয়ে গেলে, সরকার টিকিয়ে রাখতে জোটের আরও আটজন বিধায়ক লাগবে।