পটনা: সোমবারই পটনায় ফিরেছেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব (Tejaswi Yadav)। আর পটনায় ফিরেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির (Enforcement Directorate) বিরুদ্ধে কার্যত রণংদেহি মেজাজে তেজস্বী। বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ইডি তাঁর বোনেদের মঙ্গলসূত্র এবং কঙ্গনের মতো সাধারণ গহনাগুলিও নাকি বাজেয়াপ্ত করেছে। তেজস্বীর হুঁশিয়ারি, তাঁর বাবা-মায়ের ও পরিবারের লোকেদের বাড়িতে হানা দিয়ে কী কী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, সেই তালিকা হয় ইডি প্রকাশ করুক, নাহলে তিনি প্রকাশ করে দেবেন ইডি কী কী নিয়ে গিয়েছে। তেজস্বীর বক্তব্য, ‘ইডির হানা নিয়ে লোকজন এমন করছে, যেন আমাদের বাড়ি থেকে কোনও গুপ্তধন উদ্ধার হয়েছে।’ কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কিছুই পায়নি বলে দাবি তাঁর।
তেজস্বীর প্রশ্ন আগে ইডি, সিবিআই, আয়কর দফতরের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি যেখানে তাঁর পরিবারের থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তির মূল্য ৮ হাজার কোটি টাকা বলত, তারা কেন এখন ৬০০ কোটি টাকা মূল্যের কথা বলছে? তেজস্বীর পাল্টা বক্তব্য, ‘আগে সেই ৮ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির কথা বলুন তারা।’ পরবর্তী বিহারে বিধানসভার বাজেট অধিবেশনেও গিয়েছিলেন তেজস্বী। এদিন বিহার বিধানসভা চত্বরে শাসক শিবিরের জোট সঙ্গী সিপিআই(এমএল)-এর তরফে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে রাজনৈতিক স্বার্থে অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবও কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়ে বলছেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্য গুজব ছড়াতে তারা এই মিথ্যা মামলাগুলি করছে। এগুলির বিরুদ্ধে সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করা প্রয়োজন। আমাদের সেই সাহস, সেই রাজনৈতিক অবস্থান, বিবেক ও আদর্শ রয়েছে। আমরা যেদিন বিহারে সরকার গঠন করেছিলাম, সেদিনই আমরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলাম যে এমন কিছু ঘটতে পারে।’
তেজস্বী যাদবের দাবি, পূর্ণয়ায় সম্প্রতি শাসক জোটের যে বিপুল সমাবেশ হয়েছিল, তাতে ভয় পেয়ে গিয়েছে বিজেপি শিবির। সেই কারণেই তারা উদ্বিগ্ন হয়ে এই সব করছে বলে দাবি বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রীর।