নয়া দিল্লি: ইডির প্রশ্নবাণের মুখে কেসিআর কন্যা কে কবিতা (K Kavitha)। শনিবার দিল্লির আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় (Delhi Excise Policy Scam) তাঁকে টানা নয় ঘণ্টা ধরে তাঁকে জেরা করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। জানা গিয়েছে, ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে। আগামী ১৬ মার্চ তাঁকে ফের ইডির সদর দফতরে হাজিরা দিতে হবে।
শনিবার সকালেই প্রতিশ্রুতি মতো ইডির দফতরে হাজির হন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআরের কন্যা কে কবিতা। একটানা ৯ ঘণ্টা জেরার পর ইডির দফতর থেকে বের হন কে কবিতা। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন কে কবিতার মোবাইল ফোন দেখতে চান ইডি আধিকারিকরা। কিন্তু কেসিআর কন্যা জানান তিনি মোবাইল ফোন বাড়িতে রেখে এসেছেন। এরপরই ইডি আধিকারিকরা কে কবিতার নিরাপত্তারক্ষীকে বাড়ি পাঠান এবং ফোন নিয়ে এসে ইডি অফিসে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
রাতে ইডি অফিস থেকে বেরিয়ে কে কবিতা সরাসরি তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআরের দিল্লির বাড়িতে যান। সেখানে দলীয় কর্মী ও সমর্থকরা তাঁকে স্বাগত জানান। আগামী ১৬ মার্চ ফের ইডি দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে কে কবিতাকে।
উল্লেখ্য, দিল্লির আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ১০ মার্চ তলব করা হয়েছিল কেসিআর কন্যাকে। কিন্তু সেদিন দিল্লির যন্তর মন্তরে অনশন কর্মসূচি থাকায়, তিনি হাজিরা দিতে পারবেন না বলে জানান। এরপরে তিনি শনিবার হাজিরা দেওয়ার কথা জানান। ইডিও সেই প্রস্তাব মেনে নেয়।
দিল্লির প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট গভর্নরের নির্দেশেই দিল্লির আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমেছে ইডি ও সিবিআই। এই মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এই দুর্নীতির জাল শুধুমাত্র রাজধানীতেই নয়, দক্ষিণ ভারত অবধি বিস্তৃত হয়েছিল। ‘সাউথ কার্টেলে’রই অন্য়তম মাথা ছিলেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর, তাঁর কন্যা কে কবিতা, অন্ধ্র প্রদেশের একাধিক বিধায়ক। আর্থিক দুর্নীতিতে কে কবিতার প্রত্যক্ষ ভূমিকা রয়েছে বলে দাবি তদন্তকারী সংস্থার। এই যোগসূত্র খুঁজতেই বারেবারে কেসিআর কন্যাকে জেরা করছে ইডি-সিবিআই।