তেলেঙ্গানা: মৃত্যুর ওপর কখনও কারোর কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকে না। জীবনে যে মৃ্ত্যু কখন নেমে আসবে তা হয়ত কেউই সঠিকভাবে আন্দাজ করতে পারেনা। অনেকেই আবার মৃত্যুর সঙ্গে সাক্ষাতের পরও বরাতজোরে ফিরে আসেন ঠিকই। কিন্তু সকলের সেই সৌভাগ্য হয় না। তাই মৃত্যুর সঙ্গে লড়াইতে হার মেনে যেতে হয়। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের এক তরুণী মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েও ফিরে আসতে পারেননি। গাড়ির সামনের সিটে তিনি বসেছিলেন, পিছনের সিটেই ছিল তাঁর ৩ বছর বয়সী ছোট ছেলে বন্দুক নিয়ে খেলতে খেলতে আমচমকাই গুলি চালিয়ে দেয়। সেই গুলি সামনের সিটে বসে থাকা ২২ বছর বয়সী তরুণীর ঘাড়ে গিয়ে লাগে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছিল।
এবার আরও একটি বন্দুক গুরুতর বিপত্তি তৈরি করল। তবে এটি আসল বন্দুক নয়, সামান্য এয়ার গান (Air Gun) বা পাখি মারার বন্দুক। তেলেঙ্গানার (Telangana Girl Died) এক ঘটনায় এই পাখি মারার বন্দুকই এত গুরুতর ঘটনা ঘটাবে সেই কথা হয়ত কেউই কল্পনাও করতে পারেননি। তেলেঙ্গানার সাঙ্গারেড্ডি জেলার জিন্নারাম পুলিশ স্টেশন এলাকায় ৪ বছর বয়সী এক ছোট শিশু এমন এক কাণ্ড করে বসল, যাতে তাঁর বাবা-মায়ের জীবনে স্বাভাবিকভাবেই অন্ধকার নেমে আসবে। স্থানীয় একটি খামার বাড়িতে ওই ৪ বছর বয়সী মেয়েটির মারা গিয়েছে। মেয়েটির নাম পি সানভি। মাথায় গুলি লাগার কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
সানভির বাবা ওই ফার্ম হাউজেই কাজ করেন। হনুমান ও সারস পাখি মারা জন্য ফার্ম হাউজে ওই এয়ার গানটি রাখা ছিল। ফার্ম হাউজের মালিক হায়দরাবাদে থাকেন। মঙ্গলবার রাতে ভুলবশত ওই এয়ার গানটি থেকে গুলি চলে যাওয়া কারণে ওই ছোট্ট মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার সময় ওই দুধের শিশুটি ওই এয়ার গানটি নিয়ে খেলছিল বলেই জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের কাছে এই ঘটনার সামান্য তথ্য রয়েছে, তারা ঘটনার তদন্ত করে দেখছে।