Traffic Police over action: ট্র্যাফিক পুলিশের ‘ওভার অ্যাকশন’, রাস্তায় গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা ব্যক্তির

Sukla Bhattacharjee |

Feb 02, 2024 | 9:27 PM

Attempt to suicide: ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীকে 'সবক' শেখাতে সন্তোষ পার্শ্ববর্তী পেট্রোল পাম্পে গিয়ে পেট্রোল কেনেন। তারপর প্রকাশ্য রাস্তায় ওই ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীর সামনে দাঁড়িয়ে তিনি নিজের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেন। বলা যা, গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন সন্তোষ। এরপর পথচলতি লোকজনই তাঁর গায়ের আগুন নিভিয়ে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করায়।

Traffic Police over action: ট্র্যাফিক পুলিশের ওভার অ্যাকশন, রাস্তায় গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা ব্যক্তির
প্রতীকী ছবি।
Image Credit source: Facebook

Follow Us

সাঙ্গারেড্ডি: ট্র্যাফিক নিয়ম ভেঙে পথচারীদের রাস্তা পার হওয়ার ঘটনা সাধারণ ব্যাপার। এই অভ্যাস ঠেকাতে ট্র্যাফিক নিয়ম ভঙ্গকারীদের ছবি তুলছিলেন রাস্তায় কর্তব্যরত পুলিশকর্মী। যা মেনে নিতে পারেননি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত সন্তোষ। তিনি পাল্টা ওই ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীর কার্যকলাপ মোবাইলে ভিডিয়োবন্দি করেন। ট্র্যাফিক পুলিশকর্মী অবশ্য সন্তোষের এই আচরণ মেনে নেননি। পাল্টা প্রতিবাদ জানাকে নিজের জীবনকে কার্যত বলিকাঠে তুলতে হল সন্তোষকে। প্রকাশ্য রাস্তায় ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীর সামনেই অগ্নিদগ্ধ হলেন তিনি। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে তেলঙ্গনার সাঙ্গারেড্ডি শহরে। এমনকি ট্র্যাফিক পুলিশের সামনে গোটা ঘটনাটি ঘটলেও তিনি ওই ব্যক্তিকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেননি বলেও অভিযোগ।

ঠিক কী ঘটেছিল?

সিদ্দিপেটের এক বেসরকারি সংস্থার কর্মী ৪৫ বছর বয়সি সন্তোষ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ডিউটি করে বাড়ি ফিরছিলেন। সাঙ্গারেড্ডির সিদ্দিপেট এলাকায় বাস থেকে নেমে তাঁর নজর পড়ে একটি অটোর দিকে। তিনি দেখেন, যারা ট্র্যাফিক নিয়ম ভেঙে রাস্তা পেরোচ্ছে তাদের ছবি তুলছেন সেখানে কর্তব্যরত ট্র্যাফিক পুলিশকর্মী। সন্তোষ পাল্টা পুলিশকর্মীর ওই কার্যকলাপ নিজের মোবাইলে ভিডিয়ো রেকর্ডিং করেন। সন্তোষের এই পদক্ষেপ নজর এড়ায়নি ওই পুলিশকর্মীর। সঙ্গে সঙ্গে তিনি সন্তোষের মোবাইল ফোন কেড়ে নেন। তারপর সন্তোষ মোবাইল ফোন চাইলে ওই পুলিশকর্মী তাঁকে হুমকি দেন বলে অভিযোগ।

এরপরই ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীকে ‘সবক’ শেখাতে সন্তোষ পার্শ্ববর্তী পেট্রোল পাম্পে গিয়ে পেট্রোল কেনেন। তারপর প্রকাশ্য রাস্তায় ওই ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীর সামনে দাঁড়িয়ে তিনি নিজের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেন। বলা যা, গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন সন্তোষ। এরপর পথচলতি লোকজনই তাঁর গায়ের আগুন নিভিয়ে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করায়।

তবে সন্তোষের দেহের ৫০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। সন্তোষের আরও অভিযোগ, ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীর সামনে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করলেও ওই পুলিশকর্মী তাঁকে থামানোর চেষ্টা করেননি। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা অন্যান্যরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

এদিকে, সন্তোষের এই ঘটনা ট্র্যাফিক পুলিশকর্মী-সহ সমগ্র রাজ্যের পুলিশের দিকে আঙুল তুললেও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাঙ্গারেড্ডির ডিএসপি রমেশ কুমার। তিনি জানান, ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীর কোনও দোষ নেই। ওই ব্যক্তি নিজেই পুলিশের কাজে বাধা দিচ্ছিলেন এবং মদ্যপ ছিলেন। তবে ঘটনাটির তদন্ত হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

Next Article