
নয়া দিল্লি: দেশে বড় নাশকতার ছক। আইএসআই-র নিশানায় রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের সদর দফতর? গোয়েন্দা সূত্রে এমনটাই খবর মিলেছে। বড়সড় হামলা হতে পারে নাগপুরের দফতরে। আরএসএস (RSS) সদর দফতর ছাড়াও ধর্মীয় স্থান এবং বড় গণেশ মণ্ডপগুলি আইএসআই (ISI)-এর লক্ষ্য, এই সতর্কতা দিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলি।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, আইএসআই (ISI) ভারতের আরএসএস সদর দফতর নাগপুরকে নিশানা বানিয়েছে। মধ্য প্রদেশ, পঞ্জাব, হরিয়ানায় আরএসএসের দফতর গুলিও টার্গেট করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্র জুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মন্দির, পাবলিক প্লেস এবং গণেশ মণ্ডপগুলিতে পুনরায় তল্লাশি করা হচ্ছে। ড্রোন, সিসিটিভি ক্যামেরায় নজরদারি করা হচ্ছে।
আজ থেকে গণেশ চতুর্থী শুরু হয়েছে। মুম্বই জুড়ে ধুমধাম করে পালন হয় গণেশ চতুর্থী, বিপুল জনসমাগম হয়। আর সেই সময়ই নাশকতার ছক। গোয়েন্দা সংস্থাগুলির দাবি, এই মিশনের জন্য জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তৈবা এবং একিউআইএস (AQIS)-এর মতো সন্ত্রাসী সংগঠনগুলিকে সক্রিয় করা হয়েছে।
গণেশ চতুর্থীতে বড় বড় মণ্ডপেও হামলা ছক রয়েছে। বড় উৎসবগুলিকে নিশানা করা হতে পারে, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিতে পারে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, নিরাপত্তা সংস্থাগুলি উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। মুম্বইতে ১৭,০০০-এরও বেশি পুলিশ, ড্রোন, সিসিটিভি এবং বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল মোতায়েন করা হচ্ছে।
অপারেশন সিঁদুরের পর দেখা গিয়েছিল, আইএসআই জইশ ও লস্কর-ই-তৈবার মতো জঙ্গি সংগঠনগুলিকে আর্থিক মদত দিচ্ছিল। বিশেষ করে মাসুদ আজহারের পরিবার জইশ-ই-মহম্মদকে মাইক্রো ফান্ডিং করে মদত দিচ্ছে। ৪৩৪ কোটি টাকা জোগাচ্ছে। বিদেশ থেকে, তুরস্ক ও পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে আর্থিক মদত পাচ্ছে। অর্থাৎ জঙ্গি প্রশিক্ষণের লঞ্চ প্যাড তৈরি করছে। এখান থেকেই গোয়েন্দাদের সন্দেহ যে ভারতে আবার নাশকতার ছক কষা হচ্ছে। উৎসবের মরশুমে মহারাষ্ট্রে বড় হামলার ছক কষা হচ্ছে। গোয়েন্দারা ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করেছেন। নিরাপত্তা সংক্রান্ত যাবতীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।