Pahalgam Tourist Attack: পহেলগাঁও ছাড়া কোন কোন ৩ জায়গা ছিল জঙ্গিদের র‍্যাডারে?

Pahalgam Tourist Attack: তদন্তের নেতৃত্বদানকারী জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) প্রায় ২০ জন ওভার গ্রাউন্ড ওয়ার্কার্সকে চিহ্নিত করেছে যারা বিদেশী জঙ্গিদের সাহায্য করেছিল বলে মনে করা হচ্ছে।

Pahalgam Tourist Attack: পহেলগাঁও ছাড়া কোন কোন ৩ জায়গা ছিল জঙ্গিদের র‍্যাডারে?
Image Credit source: PTI

May 01, 2025 | 7:30 PM

পহেলগাঁও হামলার দু’দিন আগেই বৈসরন উপত্যকায় পৌঁছে গিয়েছিল হামলাকারীরা জঙ্গিরা। ২২ এপ্রিলের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার সন্দেহে যে ১৫ জন গ্রেপ্তারকৃত ওভার গ্রাউন্ড ওয়ার্কার্সকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে থেকে একজনের কাছ থেকে জানা গিয়েছে এমনই তথ্য বলে খবর সূত্রে। ইংরেজি সংবাদমাধ্যম NDTV একটি প্রতিবেদনে এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে।

সেই প্রতিবেদন অনুসারে তদন্তের সঙ্গে সম্পর্কিত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মতে, সন্ত্রাসীরা ১৫ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে পৌঁছোয়। বৈসরন উপত্যকা সহ কমপক্ষে চারটি স্থানে রেইকি করেছিল। অন্য তিনটি সম্ভাব্য টার্গট পয়েন্ট ছিল আরু উপত্যকা, স্থানীয় বিনোদন পার্ক এবং বেতাব উপত্যকাও। এই ৩টি জায়গা সন্ত্রাসীদের নজরদারিতে ছিল বলে খবর। সূত্রের খবর, এই অঞ্চলগুলিতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে সন্ত্রাসীরা সেখানে হামলা চালানোর সিদ্ধন্ত ত্যাগ করে।

তদন্তের নেতৃত্বদানকারী জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) প্রায় ২০ জন ওভার গ্রাউন্ড ওয়ার্কার্সকে চিহ্নিত করেছে যারা বিদেশী জঙ্গিদের সাহায্য করেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অন্যরা সক্রিয় নজরদারিতে রয়েছে।

গোয়েন্দা সূত্রে খবর, কমপক্ষে ৪ OGW সন্ত্রাসীদের লজিস্টিক সহায়তা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হামলার আগে তিনটি স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহারের প্রমাণও পাওয়া গেছে। এই ডিভাইসগুলির মধ্যে দুটি থেকে প্রাপ্ত সংকেত সফলভাবে সনাক্ত করা হয়েছে।

এনআইএ এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলি এই হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত ২,৫০০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এখন পর্যন্ত, ১৮৬ জন ব্যক্তিকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে রাখা হয়েছে।

হামলার পর, জম্মু ও কাশ্মীর জুড়ে চলে নানা ছোট বড় অভিযান। কুপওয়ারা, হান্দওয়ারা, অনন্তনাগ, ত্রাল, পুলওয়ামা, সোপোর, বারামুল্লা এবং বান্দিপোরা সহ বিভিন্ন স্থানে নিষিদ্ধ সংগঠন, যেমন হুরিয়ত কনফারেন্স গোষ্ঠী এবং জামাত-ই-ইসলামির সদস্য এবং জঙ্গিদের প্রতি সহানুভূতিশীলদের সঙ্গে যুক্ত বাড়িগুলিতে তল্লাশি চালানো হয়।

এনআইএ সূত্রে খবর, এই গোষ্ঠীগুলির নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও, একটি নেটওয়ার্ক তৈরিতে সফল হয়। এই নেটওয়ার্ক পাকিস্তানি সন্ত্রাসীদের পহেলগাঁও গণহত্যার পরিকল্পনা এবং তা বাস্তবায়নের সুযোগ করে দিয়েছিল।

এই সংগঠনগুলির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের কল রেকর্ড তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তকারীরা এই গোষ্ঠীগুলির সদস্যদের এবং পহেলগাঁও হামলায় জড়িত OGW-দের মধ্যে যোগাযোগের সংযোগ খুঁজে পেয়েছেন।