
নয়া দিল্লি: নতুন করে এসএসসি যে পরীক্ষা নিয়েছে সেই মামলাটিও এখন কোর্টে উঠছে। মামলার জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ছিল মামলার শুনানি। সেই শুনানির সময় কার্যত বেকায়দায় রাজ্য। নতুন করে যে পরীক্ষা হয়েছে, সেই পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শীর্ষ আদালত। কেন পুরনোদের সঙ্গে নতুনদের পরীক্ষা নেওয়া হল? প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের। নতুনদের জন্য যেন বিপদে না পড়ে পুরনোরা, পরিষ্কার জানিয়েছে আদালত।
এ দিন, সুপ্রিম কোর্টে শুনানি চলাকালীন বলে, “আমরা একবারও বলিনি নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার পদ্ধতিতে ফ্রেশারদের ইনক্লুড করতে। কোর্ট শুধু বলেছিল, একজনও যেন অযোগ্য পরীক্ষার্থী পরীক্ষা না দেয় এবং দুর্নীতি মুক্ত পরীক্ষা যাতে হয়। রাজ্য যখন পুরনো-নতুনদের মিলিয়ে একসঙ্গে পরীক্ষা নিয়েছে, তখন সবটা তারাই বুঝবে। তবে যাঁরা যোগ্য প্রার্থী তাঁরা যেন কোনওভাবেই সমস্যায় যেন না পড়েন।”
মামলার ব্যাকগ্রাউন্ড
ছাব্বিশ হাজারের চাকরি বাতিল হয়ে যাওয়ার পর নতুন করে পরীক্ষা নিতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই নিয়ম মেনে পরীক্ষা নেয় SSC। ২০১৬ সালে যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছিল তাঁরা তো বটেই, পাশাপাশি ফ্রেশারও বসেন পরীক্ষায়। স্কুল সার্ভিস কমিশন আগেই বলেছিল, অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পুরনোরা পাবেন দশ নম্বর অতিরিক্ত। এরপর বের হয় একাদশ-দ্বাদশের ফলাফল। সেখানে দেখা যায় এই অতিরিক্ত ১০ নম্বরের জন্য অনেক নাবগত ফুল নম্বর পেয়েও ভেরিফিকেশনের ডাক পাননি। এরপরই পথে নামেন তাঁরা। দাবি তোলেন অতিরিক্ত দশ নম্বর বাতিল করতে হবে। এরপর ফের হয় মামলা। সেই মামলার জল হাইকোর্ট থেকে পেরিয়ে পৌঁছয় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত।
আজ ছিল মামলার শুনানি। মামলা চলাকালীন সুপ্রিম কোর্ট জানায়, এসএসসি সংক্রান্ত এই ধরনের সব সমস্যা শুনবে হাইকোর্ট। প্রত্যেক মামলাকারী হাইকোর্টে তাঁদের সমস্যা জানাতে পারবেন। দাগিদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে সম্পূর্ণ তথ্যসহ। বর্তমান নিয়োগ প্রক্রিয়া যাতে বন্ধ না হয়, তার জন্য সওয়াল করেন আইনজীবীরা। এই বিষয়টিও হাইকোর্টের উপরেই ছাড়ে সুপ্রিম কোর্ট।
আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা প্রথম দিন থেকে বলছি কিন্তু রাজ্য সরকার দুর্নীতি টেকাতেই পুরনো আর নবাগতদের একসঙ্গে মিশিয়েছে। সেই কারণেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলার শুনানি করতে পারছে না। ওরা ভেবেছিল সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে হইচই করে ঘোট পাকিয়ে দেব। কিন্তু হল না। কোর্ট বলেছে এরপর যার যা বলার হাইকোর্টকে বলবে।”