Omman Chandy: প্রয়াণের ২ মাস পর ‘স্বস্তি’, কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার প্রমাণ পেল না CBI

Omman Chandy: কেরলের বর্তমান বিরোধী দলনেতা ভি ডি সাথীসন দাবি করেছেন, এই ষড়যন্ত্রের পিছনে ছিলেন কেরলের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। অন্যদিকে, পিনারাই বিজয়ন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

Omman Chandy: প্রয়াণের ২ মাস পর 'স্বস্তি', কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার প্রমাণ পেল না CBI
ওম্মান চান্ডি (ফাইল ছবি)Image Credit source: twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 12, 2023 | 9:48 PM

কেরল: প্রায় ১০ বছর আগে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমান চান্ডির বিরুদ্ধে। সেই কংগ্রেস নেতার মৃত্যুর পর অবশেষে সিবিআই জানাল, হেনস্থার কোনও প্রমাণ মেলেনি। শুধু তাই নয়, ওই অভিযোগের পিছনে থাকা ষড়যন্ত্রের তত্ত্বও সামনে আসছে এবার। এক মহিলার দেওয়া যে চিঠিতে অভিযোগ আনা হয়েছিল তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। সেই চিঠির সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। আর যিনি মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ওই চিঠি সামনে এনেছিলেন, তাঁর দাবি সিপিএম-এর চাপেই ওই কাজ করেছিলেন তিনি। ২০১৩ সালে এই অভিযোগের সূত্রপাত হয়। এক সপ্তাহ আগে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মুখবন্ধ খামে জমা পড়েছে সিবিআই-এর তদন্ত রিপোর্ট।

কেরলের বর্তমান বিরোধী দলনেতা ভি ডি সাথীসন দাবি করেছেন, এই ষড়যন্ত্রের পিছনে ছিলেন কেরলের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। অন্যদিকে, পিনারাই বিজয়ন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অভিযোগকারী মহিলার লেখা ওই চিঠি টি জি নন্দকুমার নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দেওয়া হয়েছিল। শুধু তাই নয়, সিবিআই বলছে, ২০১৬ সালে বিজয়ন মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ঠিক তিন দিন পর তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন ওই মহিলা।

২০১৩ সালে এই যৌন হেনস্থার অভিযোগ সামনে আসার পর চান্ডির তিন সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে ২০১৬ সালে সে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে ওই মহিলা দাবি করেন, তাঁকে হেনস্থা করেছেন ওমান চান্ডিও। এরপর নির্বাচনে হেরে যান চান্ডি। এলডিএফ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হন পিনারাই বিজয়ন।

২০১৮ সালে মহিলা ফের পুলিশের দ্বারস্থ হলেও পুলিশ চান্ডির বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ খুঁজে পাননি। পরবর্তীতে ২০২১ সালে এই মামলায় শুরু হয় সিবিআই তদন্ত। সম্প্রতি সিবিআই ওই তদন্তের রিপোর্টে জানিয়েছে, যৌনতার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। শুধু হেনস্থাই নয়, ওই মহিলা ওমান চান্ডি ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগও সামনে এনেছিলেন। সাক্ষীদের সঙ্গে কথা বলার পরও সিবিআই তেমন কোনও তথ্য পায়নি। সিবিআই আরও জানিয়েছে, ওই মধ্যস্থতাকারী ওই মহিলাকে ১ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। চলতি বছরের ১৮ জুলাই প্রয়াত হয়েছেন চান্ডি। প্রয়াণের ২ মাস পর যৌন হেনস্থার অভিযোগ থেকে ‘রেহাই’ পেলেন কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।