অমরাবতী: সকালে বেরিয়েই চোখে পড়েছিল, দরজার সামনে সাপের খোলস পড়ে রয়েছে। দেখেই তো আঁতকে উঠেছিলেন, সঙ্গে সঙ্গে খোঁজ পড়ে সাপুড়ের। আর ভাগ্যক্রমে গ্রামে সেই সময় উপস্থিতও ছিল তিন সাপুড়ে। তারা এসে বাড়ি তন্ননতন্ন করে খুঁজল, সত্যি সাপও খুঁজে বের করল। গ্রামের সবাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল, কিন্তু রাত পড়তেই সর্বনাশ হয়ে গেল। গ্রামের মন্দির নির্মাণের জন্য ১২ লক্ষ টাকা তোলা হয়েছিল, সেই টাকা চুরি হয়ে গিয়েছে। পুলিশে ছোটাছুটি, গ্রেফতার হল অভিযুক্তরা। তবে চুরির টাকা উদ্ধার করতে গিয়ে পুলিশের কালঘাম ছুটে গেল। বস্তা খুলতেই কিলবিল করে বেরিয়ে এল ভয়ঙ্কর সব সাপ।
আন্তঃরাজ্য চুরির বড় চক্র হাতেনাতে ধরল পুলিশ। অন্ধ্র প্রদেশের অনন্তপুর জেলায় চুরি থেকেই গোটা চক্র ফাঁস হল। চোরেদের টেকনিকে তো অবাক পুলিশও। কীভাবে চুরি করত তারা? বাড়িতে সাপ ঢুকিয়ে। হ্যাঁ, সাপুড়ে সেজে ঘুরে বেড়াত চোরেরা। তারা দিনের বেলায় সুযোগ বুঝে বিভিন্ন বাড়ির সামনে সাপের খোলস ফেলে আসত। সেই খোলস দেখে যখন বাড়ির লোক আতঙ্কিত হয়ে পড়ত, তখন সাপুড়ে সেজে তারা হাজির হত।
সাপ খোঁজার নামে ভালভাবে বাড়ি ঘুরে রেইকি করত। রাত পড়লেই সেই বাড়িতে তারা চুরি করত। এভাবেই অনন্তপুর জেলার কানেকাল্লুতে মন্দির তৈরির জন্য ১২ লক্ষ টাকা তোলা হয়েছিল। গ্রামেরই এক সদস্যের বাড়িতে টাকা রাখা ছিল। চোরেরা একই টেকনিকে তার বাড়িতে চুরি করে। বিয়ারের ক্যান ভেঙে টাকা চুরি করে।
পুলিশে অভিযোগ জানানোর পর অভিযান শুরু হয়। গ্রেফতার করা হয় তিন অভিযুক্তকে। জেরায় জানা যায়, শুধু অন্ধ্র প্রদেশ নয়, কর্নাটক এবং তামিলনাড়ুতেও তারা চুরি করত। বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। পুলিশ তাদের কাছ থেকে ১০ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা উদ্ধার করে।
সেই টাকা উদ্ধারেও আরেক কাণ্ড। পুলিশ যখন চোরদের চুরির টাকা কোথায়, তা জানতে চায়, তখন তারা একটি বস্তা দেখায়। পুলিশ সেই বস্তা খুলতেই আঁতকে ওঠে। বস্তা খুলতেই কিলবিল করে সাপ বেরতে থাকে। সেই বস্তার ভিতরে গাদাগুচ্ছের সাপের মধ্যেই টাকার বান্ডিলগুলি ভরা ছিল।