
শ্রীনগর: রশিদ খান। ৯০-এর দশকের কুখ্যাত জঙ্গি। কুপওয়াড়ার রশিদ খান পাক অধিকৃত কাশ্মীরে গিয়ে আফগান মুজাহিদিনদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ফিরেছিলেন। সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন ‘আজাদ কাশ্মীরে’র স্বপ্ন নিয়ে। আজ সে সবই অতীত। অস্ত্র ছেড়েছেন আগেই। আজ যে শুধু তিনি সমাজের মূল স্রোতে তাই নয়, জঙ্গিদের ধরিয়ে দিতে সাহায্যও করেন তিনি।
পাকিস্তানে মাটিতে গিয়ে জঙ্গি-প্রশিক্ষণ নেওয়ার স্মৃতি আজ টাটকা রশিদ খানের মনে। সীমান্ত পেরিয়ে যাওয়ার পরই তাঁদের অভ্যর্থনা জানিয়েছিল পাক সেনা। সীমান্ত থেকে গাড়িতে চাপিয়ে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল দূরে একটি প্রশিক্ষণ শিবিরে।
তালিম শেষ হয়। হাতিয়ার নিয়ে দেশে ফেরেন তিনি। এরপর প্রতিনিয়ত সীমান্তের ওপার থেকে আসত নির্দেশ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি বুঝতে পারেন এই ‘আজাদ কাশ্মীর’ আসলে এক মিথ্যা। তাই তিনি সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন। তারপর থেকে তিনি সরকারের সঙ্গে কাজ শুরু করেছেন, যাঁদের বলা হয় ‘এখোয়ানি’।
কুপওয়াড়া থেকে সোপর পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকায় ১০০-র বেশি জঙ্গিকে ধরিয়ে দিতে বা মারতে সাহায্য করেছেন এই রশিদ খান। আজ পহেলগাঁওতে এত বড় হামলার ঘটনা মানতে পারছেন না তিনি। সোজাসুজি বলেন, “এরকম কাজ মানুষ করতে পারে না।” একই সঙ্গে তিনি জানান, যুদ্ধ যদি হয়, তাহলে আবার তিনি সেনার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ করতে তৈরি।
এখন তিনি মনে করেন, জঙ্গি ট্রেনিং দিয়ে আদতে ধোঁকা দেওয়া হয়। এখনও হচ্ছে। জামাত-এ-ইসলামির মতো সংগঠন ধোঁকা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে বলেই মনে করেন তিনি। এটাই তাঁর নিজের দেশ। তাই সেই দেশকে বাঁচাতে লড়াই করতে তৈরি রশিদ খান।