Patanjali: ৮ থেকে ১২ সপ্তাহ এই তেল মাথায় লাগালেই ‘ম্যাজিক’, গবেষণায় উঠে এল ‘পতঞ্জলি’র বড় সাফল্য
Patanjali: শুধু তেল ব্যবহার করলে চলবে না। সঙ্গে খেতে এই হবে ট্যাবলেটও। তাহলেই হাতেনাতে মিলবে ফল।

নয়া দিল্লি: বর্তমানে চুল পড়ার সমস্যা ঘরে ঘরে। অল্প বয়সেও মানুষ এই সমস্যায় ভুগছেন। মানসিক চাপ, বদলে যাওয়া খাদ্যাভ্যাস, হরমোনের পরিবর্তন এবং দূষণ সহ একাধিক কারণে মানুষ এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। পুরুষ হোক বা নারী, চুল পড়া আত্মবিশ্বাসও কমিয়ে দেয়। চুল পড়া রোধ করার জন্য বাজারে অনেক পণ্য পাওয়া যায়, তবে সেগুলি কার্যকর কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। পতঞ্জলির একটি আয়ুর্বেদিক ওষুধ রয়েছে, যেটি চুল পড়া বন্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে খুবই কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে।
চুল পড়ার সমস্যা দূর করার জন্য পতঞ্জলি যে ওষুধটি তৈরি করেছে তা পুরোপুরি আয়ুর্বেদিক। এই ওষুধগুলি হল, পতঞ্জলি দিব্য কেশ তেল এবং দিব্য কেশ কান্তি ট্যাবলেট। এটি চুলের গোড়া মজবুত করার জন্য এবং নতুন চুল গজানোর জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। এই ওষুধে ব্রাহ্মী, আমলা, ভৃঙ্গরাজ, জটামানসী এবং অশ্বগন্ধার মতো শক্তিশালী ভেষজ ব্যবহার করা হয়েছে। এই ভেষজগুলি কেবল চুলকে পুষ্টি জোগায় তাই নয়, মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালনও বাড়ায়, ফলে ধীরে ধীরে চুল পড়া কমে।
পতঞ্জলির এই ওষুধ গবেষণায় কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে
পতঞ্জলি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা নিয়মিত এই ওষুধটি ব্যবহার করেছিলেন, তাঁদের উপর যখন এই ওষুধটি ব্যবহার করা হয়, তখন অবাক করার মতো ফল দেখা যায়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ৮০ শতাংশেরও বেশি মানুষ চুল পড়া কমাতে পেরেছেন। কিছু ক্ষেত্রে নতুন চুলের বৃদ্ধিও দেখা গিয়েছে।
গবেষণায় উঠে এসেছে, যাঁরা ৮ থেকে ১২ সপ্তাহ ধরে একটানা পতঞ্জলির দিব্য কেশ কান্তি ট্যাবলেট এবং তেল ব্যবহার করেছিলেন, তাঁদের চুল এবং মাথার ত্বকের মানের উন্নতি দেখা গিয়েছে।
কীভাবে ব্যবহার করবেন?
দিব্য কেশ তেল: রাতে ঘুমনোর আগে চুলের গোড়ায় আঙুল দিয়ে হালকাভাবে ম্যাসাজ করুন এবং সারা রাত রেখে দিন। সকালে হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
দিব্য কেশ কান্তি ট্যাবলেট: ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্রতিদিন এক থেকে দুটি ট্যাবলেট হালকা গরম জলের সঙ্গে খান।
কারা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবেন?
এই ওষুধটি বিশেষ করে তাঁদের জন্য, যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে চুল পড়ার সমস্যায় ভুগছেন এবং রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করে ক্লান্ত। এটি চুলকে গোড়া থেকে পুষ্টি জোগায়, চুলকে মজবুত, ঘন এবং চকচকে করে তোলে।
বহু মানুষ এই ওষুধটি খুব পছন্দ করছেন। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়া এবং পতঞ্জলির প্লাটফর্মে জানিয়েছেন, ভাল ফল পাওয়ার কথা। অনেকে জানিয়েছেন যে তাঁরা অনেক ব্যয়বহুল চিকিৎসা ছেড়ে এই আয়ুর্বেদিক ওষুধটি গ্রহণ করতে শুরু করেছেন ও স্বস্তি পেয়েছেন।





