
চিনকে কি আদৌ বিশ্বাস করা যায়? এই প্রশ্ন বারে বারে উঠেছে। কারণ ঐতিহাসিক ভাবে ভারতকে বারে বারে পিছন থেকে ছুরি মেরেছে চিন। সে নেহেরুর সময় হোক বা পরে। সাম্প্রতিক অতীতে ডোকলাম থেকে গালওয়ান, বারে বারে চিনের বিশ্বাসঘাতকতার মুখে পড়েছে ভারত। আর এবার তিব্বতের নির্বাসিত সরকারের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি লোবসাং সাঙ্গাই একটি ভয়ঙ্কর সতর্কবার্তা দিলেন। তিনি বলেন, চিনের আগ্রাসী মনোভাব এখনও শেষ হয়নি। বরং চিনের পরবর্তী বড় লক্ষ্য হল অরুণাচল প্রদেশ। তাঁর মতে, চিনকে বিশ্বাস করা একেবারেই উচিত নয় ভারতের।
সাঙ্গাই চিন-ভারত সম্পর্কের ইতিহাস টেনে এনেছেন। প্রতিবার ভারত যখন সম্পর্ক নতুন করে শুরু করতে চেয়েছে, তখনই চিন বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। ১৯৫৪ সালে পঞ্চশীল চুক্তি হয়েছিল, কিন্তু ১৯৬২ সালে যুদ্ধ শুরু হয়। ২০১৫ সালে শি জিনপিং ভারতে এসেছিলেন, দু’বছরের মধ্যেই ডোকলামে সমস্যা দেখা দিল। আবার ২০১৯ সালে যখন দুই দেশ সম্পর্কের ৭০ বছর উদযাপন করছিল, তার পরের বছরই হয় গালওয়ান।
সাঙ্গাই একটি ভয়ংকর কথা বলেছেন। তিনি বলেন, তিব্বত হল চিনের হাতের তালু, আর লাদাখ, নেপাল, ভুটান, সিকিম ও অরুণাচল হল তার পাঁচ আঙুল। চিন ইতিমধ্যেই তিব্বত দখল করে নিয়েছে এবং এখন চিন বাকি পাঁচটি আঙুলের দিকে আসছে। কারণ হিমালয়কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে দক্ষিণ এশিয়া এবং ভারতকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
সীমান্তে সামরিক পরিকাঠামো তৈরি করছে চিন। হাই-স্পিড রেল, হাইওয়ে আর সামরিক বিমানঘাঁটি বানানো হচ্ছে। ‘হিন্দি-চিনি ভাই ভাই’ স্লোগান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘চিনি মানে সুগার। যা স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ। এটি ডায়াবেটিস, ডিমেনশিয়া এবং ফ্যাটি লিভারের কারণ’। তাঁর মতে, কোনও প্রেক্ষাপটেই ভারতের চিনের সঙ্গে থাকা উচিত নয়।
সাঙ্গাইয়ের বার্তা স্পষ্ট, ভারতের উচিত চিনের সঙ্গে বন্ধুত্বের মায়া ছেড়ে দেওয়া। ‘আপনি আর কতবার আপনার হৃদয় ভাঙতে চান?’ প্রশ্ন করেন তিনি। চিনের চূড়ান্ত লক্ষ্য হল বিশ্বকে শাসন করার আগে এশিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করা। আর সেই কারণেই তারা ভারতকে পথের কাঁটা মনে করে, বলছেন সাঙ্গাই।