Krishna River Water Dispute: জল কার? অন্ধ্র-তেলঙ্গানার চুলোচুলিতে বাঁধের নিয়ন্ত্রণ নিল কেন্দ্র

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Dec 02, 2023 | 11:11 AM

Andhra Pradesh-Telangana Clash: জল ছাড়া নিয়ে দুই রাজ্যের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি হতেই কেন্দ্র পদক্ষেপ করে। দুই রাজ্যকেই জল ছাড়া থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে তেলঙ্গানা ও অন্ধ্র প্রদেশকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়। দুই রাজ্যই এই প্রস্তাবে সম্মতি জানায়।    

Krishna River Water Dispute: জল কার? অন্ধ্র-তেলঙ্গানার চুলোচুলিতে বাঁধের নিয়ন্ত্রণ নিল কেন্দ্র
বাঁধের দখল নিয়ে ধুন্ধুমার।
Image Credit source: Twitter

Follow Us

হায়দরাবাদ: পানীয় জল নিয়ে ধুন্ধুমার। বাঁধের জলে কার অধিকার, তা নিয়ে তুমুল বিরোধ তেলঙ্গানা ও অন্ধ্র প্রদেশের মধ্যে। ৩০ নভেম্বর তেলঙ্গানায় ছিল বিধানসভা নির্বাচন। ঠিক তার আগের দিন মধ্য রাতে নাগার্জুন সাগর বাঁধের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিয়ে নেয় অন্ধ্র প্রদেশ। বাঁধ থেকে জল ছাড়তে শুরু করে। এই নিয়ে তীব্র অশান্তি শুরু হয়। শেষ অবধি পরিস্থিতি সামাল দিতে বাঁধের নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র নিজের হাতে তুলে নেয়।

জানা গিয়েছে, ২৯ নভেম্বর রাত ২টো নাগাদ প্রায় ৭০০ অন্ধ্র প্রদেশ পুলিশ নাগার্জুন সাগর বাঁধে চড়াও হয় এবং বাঁধের বাদিকের গেট খুলে দেয়। কৃষ্ণা নদীর উপরে তৈরি ওই বাঁধ থেকে প্রতি ঘণ্টায় ৫০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

তেলঙ্গানার মুখ্য সচিব শান্তি কুমারী অভিযোগ করেন, অন্ধ্র প্রদেশের ৫০০ পুলিশ এসে নাগার্জুন সাগর বাঁধের দখল নিয়েছে। সিসিটিভি ভাঙচুর করার পর পুলিশ ৫ ও ৭ নম্বর গেট খুলে দেয়। প্রায় ৫ হাজার কিউসেক জল ছেড়ে দেয়। এতে হায়দরাবাদ ও আশেপাশের এলাকার ২ কোটি বাসিন্দা তীব্র জলকষ্টে পড়বেন বলে দাবি করেন। তেলঙ্গানার নালগোন্ডায় অন্ধ্র প্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে দুটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

জল ছাড়া নিয়ে দুই রাজ্যের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি হতেই কেন্দ্র পদক্ষেপ করে। দুই রাজ্যকেই জল ছাড়া থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে তেলঙ্গানা ও অন্ধ্র প্রদেশকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়। দুই রাজ্যই এই প্রস্তাবে সম্মতি জানায়।

অন্যদিকে, অন্ধ্র প্রদেশের দাবি, তারা চুক্তি মতোই নায্য জল আদায় করে নিয়েছে। অন্ধ্র প্রদেশের সেচ মন্ত্রী অম্বাতী রামবাবু বলেন, “আমরা কোনও চুক্তি ভাঙিনি। কৃষ্ণা নদীর ৬৬ শতাংশ জলের উপরে অন্ধ্র প্রদেশের অধিকার রয়েছে, বাকি ৩৪ শতাংশ তেলঙ্গানার। আমাদের নায্য পাওনা ছাড়া এক বিন্দুও বেশি জল ব্যবহার করিনি আমরা। এই জলের উপরে আমাদেরই অধিকার রয়েছে।”

আপাতত বাঁধের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে সিআরপিএফ। চুক্তি মতো দুই রাজ্যই সমান জল পাচ্ছে কি না, তার উপরও নজরদারি করবে সিআরপিএফ।

প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৫ সালেও অন্ধ্র প্রদেশ পুলিশ জোর করে বাঁধের দখল নেওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তেলঙ্গানা পুলিশ গিয়ে সেই চেষ্টা প্রতিহত করে।

Next Article