নয়া দিল্লি: তহবিল তছরুপের অভিযোগে কারাবন্দি আপ নেতা সত্যেন্দ্র জৈনকে তিহার জেলে ভিআইপি খাতির দিচ্ছিলেন। সোমবার (১৪ নভেম্বর) এই অভিযোগে সাসপেন্ড করা হল তিহার জেলের সুপার অজিত কুমারকে। গত সপ্তাহেই এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট আদালতে অভিযোগ করেছিল, তিহার জেলে বিশেষ খাতির পাচ্ছেন আপ নেতা। তিহার জেলের সুপার অনিয়ম করছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। এর আগে প্রতারণার দায়ে কারাবন্দি সুকেশ চন্দ্রশেখর তিহারের জেল নম্বর ৭-এর সুপারের বিরুদ্ধে সত্য়েন্দ্র জৈনকে বেআইনি সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ এনেছিলেন।
দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরকে একটি চিঠি দিয়েছিলেন সুকেশ। সেই চিঠিতে তিনি দাবি করেছিলেন, ২০১৫ সাল থেকে সত্যেন্দ্র জৈনকে চেনেন তিনি। ৫০ কোটি টাকারও বেশি অর্থ, আপ দলকে অনুদান হিসেবে দিয়েছিলেন। এর বদলে তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আপ নেতারা। এমনই অভিযোগ করেছিল সুকেশ। এর আগে চলতি মাসেই কারা বিভাগের ডিজি সন্দীপ গোয়েলকে তিহার জেল থেকে বদলি করা হয়েছিল। সুকেশ চন্দ্রশেখর অভিযোগ করেছিলেন, কারাগারে ‘প্রোটেকশ মানি’ হিসেবে সন্দীপ গোয়েল এবং সত্যেন্দ্র জৈন তাঁর কাছ থেকে ১০ কোটি টাকার তোলা তুলেছিলেন।
বিশেষ বিচারক বিকাশ ধুলের এজলাসে ইডির পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছিল, কারাগারে কারফিউ-এর পর অপরিচিত ব্যক্তিরা সত্যেন্দ্র জৈনের পা টিপে দিয়ে যায়। তাঁকে কারাগারে বিশেষ খাবারও দেওয়া হয়। অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু আদালতে সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিয়ো ফুটেজ পেশ করে জানান, গত ৩০ মে সত্য়েন্দ্র জৈনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারপর থেকে হয় তিনি হাসপাতালে থেকেছেন, অথবা, কারাগারে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন।