Anubrata-Sukanya: দোলাদের কেষ্ট-সাক্ষাত শেষ হতেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে নমস্কার জানালেন তিহাড় জেলের সুপার!

Tihar Jail: প্রায় ৪০ মিনিট তিহাড় জেলের ভিতরে কাটানোর পর তৃণমূল সাংসদদের সাফ বক্তব্য, যেভাবে বাংলার বাইরে জেলবন্দি করে রাখা হয়েছে কেষ্ট ও সুকন্যাকে, তা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছুই নয়। যদিও দোলা সেন এও জানালেন, তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিশেষ কোনও অভিযোগ জানাননি অনুব্রত ও সুকন্যারা।

Anubrata-Sukanya: দোলাদের কেষ্ট-সাক্ষাত শেষ হতেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে নমস্কার জানালেন তিহাড় জেলের সুপার!
অনুব্রত মণ্ডল ও সুকন্যা মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূল সাংসদরা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 02, 2023 | 4:05 PM

নয়া দিল্লি: তিহাড়ে (Tihar Jail) বন্দি গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। জেলবন্দি তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলও (Sukanya Mondal)। কবে জামিন পাবেন, কোনও নিশ্চয়তা নেই। দীর্ঘদিন ধরে বাংলার পরিচিত গণ্ডির বাইরে জেলে রয়েছেন দু’জনে। এমন অবস্থায় শুক্রবার তিহাড়ে কেষ্ট ও সুকন্যার সঙ্গে দেখা করতে গেলেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন এবং লোকসভার সাংসদ অসিত মাল এদিন দুপুরে তিহাড়ে যান কেষ্ট মণ্ডলদের সঙ্গে দেখা করতে। সেখান থেকে বেরিয়ে সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’র বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন দোলা সেনরা। প্রায় ৪০ মিনিট তিহাড় জেলের ভিতরে কাটানোর পর তৃণমূল সাংসদদের সাফ বক্তব্য, যেভাবে বাংলার বাইরে জেলবন্দি করে রাখা হয়েছে কেষ্ট ও সুকন্যাকে, তা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছুই নয়। যদিও দোলা সেন এও জানালেন, তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিশেষ কোনও অভিযোগ জানাননি অনুব্রত ও সুকন্যারা। তিহাড়ে শারীরিকভাবে সুস্থ রয়েছেন উভয়েই।

তিহাড় জেলে কেষ্ট ও সুকন্যার সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে দোলা সেন বললেন, ‘দিদির নির্দেশে রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে আমি ও লোকসভার সাংসদ হিসেবে অসিত মাল এখানে এসেছিলাম কেষ্টদা ও তাঁর মেয়ে সুকন্যার সঙ্গে দেখা করতে। ওনারা বিচারাধীন বন্দি ও অভিযুক্ত… কিন্তু ওনারা বাংলার বাইরে জেলে আছেন। অকারণে তাঁরা এত দূরে আছেন। কীভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চলছে, তা আপনারা জানেন। আমরা জানি এখন কোন জমানায় আমরা আছি।’

রাজনৈতিক প্রতিহিংসার পাশাপাশি সুকন্যাকে যেভাবে জেলবন্দি করে রাখা হয়েছে, তা নিয়েও আক্ষেপের সুর দোলা সেনের গলায়। বললেন, ‘সুকন্যার বিষয়টি আরও দুঃখজনক। তিনি তো রাজনীতির মধ্যেই ছিলেন না, আমাদের পার্টিও করতেন না। বাবাকে চাপ দেওয়ার জন্য তাঁকেও জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হল। এটা খুবই দুঃখজনক। তাঁদের সঙ্গে দেখা করা, আমাদের নৈতিক কর্তব্য বলে মনে হয়েছিল। তাই আমরা দলের তরফে এসেছিলাম।’ সুকন্যাকে যেভাবে বাংলার বাইরে এনে জেলবন্দি করে রাখা হয়েছে, তা নিয়ে তীব্র আপত্তি দোলা সেনের গলায়। বললেন, ‘রাজনৈতিক কারণে আমাদের যে কাউকে শাস্তিভোগ করতে হতে পারে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নিয়েই দেশের সরকার চলছে। কিন্তু যে মেয়েটি কোনওদিন রাজনীতি করেনি, তাঁকে রাজনীতির কারণে এসবের মুখোমুখি হতে হচ্ছে, এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’

অনুব্রত-সুকন্যাদের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে দলের অবস্থান আরও স্পষ্ট করে দিয়ে দোলা সেন বলেন, ‘আমাদের যে সঙ্গীরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে জেলে আছে, তাঁদের পাশে আমরা আছি।’ সাংসদের এই বক্তব্য শোনার পর দোলা সেনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তাহলে কি দল পাশে রয়েছে, এই বার্তাই আজ কেষ্ট মণ্ডলকে দেওয়া হল? স্মিত হেসে সাংসদের জবাব, ‘উনি জানেন তো। উনি তো আমাদের থেকেও বেশি পুরনো রাজনীতিক।’

তিহাড় জেলের সাত নম্বর সেলে রয়েছেন কেষ্ট মণ্ডল। আর তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল রয়েছেন ছয় নম্বর সেলে। দু’জনের সঙ্গেই এদিন বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন দোলা সেন, অসিত মালরা। তিহাড় থেকে বেরিয়ে তাঁরা জানালেন, ‘কেষ্টদা ও তাঁর মেয়ে সুকন্যা দু’জনেই জানিয়েছেন তাঁরা শারীরিকভাবে ঠিক আছেন। তাঁরা বলেছেন, এখানে মোটামুটি ব্যবস্থা আছে। যদি শরীর খারাপ হয়, চিকিৎসা হয়ত হবে।’ তিহাড় থেকে বেরনোর আগে জেল সুপারের সঙ্গে কথা হয়েছে দোলা সেনদের। সুপারকে তাঁরা জানিয়েছেন, জেলের অভ্যন্তরীণ পরিকাঠামো নিয়ে বিশেষ কোনও অভিযোগ অনুব্রত মণ্ডলরা জানাননি। সেটি শুনে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন জেল সুপারও। তিনিও আশ্বস্ত করেছেন, নিয়ম মেনে বন্দিদের দেখভালের কোনও সমস্যা হবে না। দোলা সেন জানালেন, সাংসদদের মারফত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নমস্কার জানিয়েছেন তিহাড় জেলের সুপার।