নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের ‘বকেয়া টাকা’ আদায়ের জন্য ইতিমধ্যেই দিল্লিতে পৌঁছেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব এবং কর্মী-সমর্থকরা। সোমবার মহাত্মা গান্ধীর জন্মজয়ন্তীতে রাজঘাটে তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করবে তৃণমূল। দুপুর ১টা নাগাদ রাজঘাটে শ্রদ্ধা জানাতে যাবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ দলের সাংসদ, মন্ত্রী-বিধায়করা। সেখানেই ধর্নায় বসে প্রতিবাদে সামিল হবেন। সোমবারের পাশাপাশি মঙ্গলবারও প্রতিবাদ কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূলের। যদিও মঙ্গলবার কী কী কর্মসূচি নেওয়া হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এ বিষয়ে আলোচনা করতে অভিষেকের নেতৃত্ব বৈঠকে বসবে ঘাসফুল শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব।
বুধবার জেলার সব ব্লকে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা তৃণমূলের। দিল্লিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা নেত্রীদের আটকের প্রতিবাদে বিক্ষোভ বীরভূমে। বীরভূমের রামপুরহাটে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী ও সমর্থকরা। মঙ্গলবার রাতে রামপুরহাট পাঁচমাথা মোড়ে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী ও সমর্থকেরা। টায়ার জ্বালিয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ তৃণমূলের, কোচবিহারের খাগড়াবাড়িতে। পুরুলিয়ার আদ্রায়ও প্রতিবাদ দেখান তৃণমূল কর্মীরা।
এক্স হ্যান্ডেলে মমতা লিখলেন, ‘আজ গণতন্ত্রের জন্য একটা অন্ধকার, ভয়ঙ্কর দিন।’ একইসঙ্গে লিখলেন, ‘আমরা ভয় করব না ভয় করব না, দু’বেলা মরার আগে মরব না, ভাই, মরব না।’ পড়ুন বিস্তারিত : আজ গণতন্ত্রের জন্য একটা অন্ধকার, ভয়ঙ্কর দিন, এক্স হ্যান্ডেলে লিখলেন মমতা
Today is a dark, sinister day for democracy, a day when @BJP4India revealed their disdain for the people of Bengal, their disregard for the rights of the poor and a complete abandonment of democratic values.
First, they callously withheld crucial funds meant for the poor of…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) October 3, 2023
শুভেন্দু অধিকারী এদিন বলেন, “আইন কারও ঊর্ধ্বে নয়। পাঁচজনকে অনুমতি দিয়েছিল। ওরা ৪০ জনকে নিয়ে গিয়েছিল। ওটা ডায়মন্ড হারবার নাকি কলকাতা ব্রিজ? যথেষ্ট সময় দিয়েছে। পাঁচজনকে তো ডেকেছিল। ৪০ জনকে নিয়ে যাবে, ওটা হাট নাকি? ডায়মন্ড হারবার নাকি?”
টুইটারে সরব শরদ পওয়ারের কন্যা সুপ্রিয়া সুলে। তিনি লেখেন, এদিন যা ঘটল তা আক্রোশজনক। পশ্চিমবঙ্গের সংসদ সদস্যদের কৃষি ভবন থেকে জোর করে বের করে দিল্লি পুলিশ আটক করেছে! এটা স্পষ্ট যে দিল্লির কিছু অদৃশ্য হাত এর পিছনে আছে।
Outrageous! Members of Parliament from West Bengal forcefully ejected from Krishi Bhawan by Delhi Police and detained! It’s crystal clear that this is being orchestrated by some INVISIBLE HAND in Delhi. This government’s refusal to heed the MPs is utterly regrettable. This is a… https://t.co/y1FgYAJeBo
— Supriya Sule (@supriya_sule) October 3, 2023
সূর্যাস্তের পর মহিলা সাংসদদের থানায় আটক রাখা হল কী করে, বিতর্ক উস্কে প্রশ্ন মহুয়ার। কোন কাগজ ছাড়াই মহিলাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন মহুয়া মৈত্র।
We are all being detained at Queensway Camp now. Lady MPs being held after sunset in a police line . No paperwork.
— Mahua Moitra (@MahuaMoitra) October 3, 2023
যদিও রাত ১০টায় মন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, তাঁর আজ আড়াই ঘণ্টা সময় নষ্ট হয়েছে। সাড়ে ৮টা অবধি তৃণমূলের প্রতিনিধিদের জন্য অপেক্ষা করে দফতর থেকে বের হন।
आज 02:30 घंटे का समय व्यर्थ गया।
आज तृणमूल के सांसदों की प्रतीक्षा करते करते 08:30 बजे कार्यालय से निकली हूँ।
मेरी जानकारी के अनुसार तृणमूल के सांसद और बंगाल के मंत्रियों के प्रतिनिधिमण्डल ने कार्यालय में 06:00 बजे मिलने का समय लिया था।
…cont pic.twitter.com/SYY53ugkWK
— Sadhvi Niranjan Jyoti (@SadhviNiranjan) October 3, 2023
लेकिन बाद में वे तृणमूल के कार्यकर्ताओं को जनता बताकर मिलना चाह रहे थे,जो की कार्यालय की व्यवस्था के विरुद्ध था
संबंधित भेंट के तय विषयों से वे पीछे हट गये क्योंकि उनका उद्देश्य भेंट करना नहीं था,उनकी मंशा राजनीति करने की थी
तृणमूल नेताओं द्वारा की गई यह अत्यंत शर्मनाक घटना है.
— Sadhvi Niranjan Jyoti (@SadhviNiranjan) October 3, 2023
পুলিশ লাইনেই মাইক হাতে অভিষেক বলেন, “আমাদের একটা কনফারেন্স হলে বসতে দেওয়া হয়। আমরা বসেছিলাম। কথা ছিল প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করব। তাই কৃষি ভবনে যাই। প্রতিনিধি দলের তালিকা দেখেই আমাদের ঢোকানো হয়। বাড়তি কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। আমাদের অপেক্ষা করিয়ে মন্ত্রী পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান। আমরা গিরিরাজ সিংয়ের সময় চেয়েছিলাম, দেয়নি। প্রতিমন্ত্রীর সময় চাইলাম। দু’বার সময় পরিবর্তন করে আমাদের ওখানে বসিয়ে রেখে পালিয়ে গেল। মন্ত্রী পালিয়েছে জেনে মন্ত্রীর চেম্বারের দিকে হেঁটে যাওয়ার চেষ্টা করি। দিল্লি পুলিশের অফিসার, আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ান, সিআইএসএফ দিয়ে আমাদের আটকায়। সেখানেই বসে পড়ি। ধরনায় বসেছিলাম শান্তিপূর্ণভাবে। হঠাৎ বল প্রয়োগ করে, মহিলাদের পর্যন্ত ছাড়েনি।”
শান্তনু সেনের অভিযোগ, “বেধড়ক মারধর করেছে। ছিনতাই করেছে। আমার পকেটে ৪-৫ হাজার টাকা ছিল। আধার কার্ড, ভোটার কার্ডের পাউচ, পেন, সব চুরি হয়েছে। বেধড়ক মেরেছে। আমাদের ঘিরে বর্বরোচিত আক্রমণ করা হয়েছে।”
মুখার্জিনগরে উৎসব সদনে (কিংসওয়ে ক্যাম্প) পুলিশ লাইনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা। পুলিশ লাইনের ভিতরেই স্লোগান দিতে থাকেন অভিষেকরা, ‘গা জোয়ারি চলবে না।’ বর্ষীয়ান সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে শোনা যায়, ‘লড়াই লড়াই লড়াই চাই। লড়াই করেই বাঁচতে চাই।’
এদিন কৃষিভবন থেকে সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ অভিষেক জানিয়েছিলেন, “প্রতিমন্ত্রীর দেখা করার কথা ছিল সন্ধ্যা ৬টার সময়। সাড়ে ৭টা বেজে গেলেও আসেননি। আগে উনি আজ দুপুর ১২টায় সাক্ষাতের সময় দিয়েছিলেন। গতকাল ইমেলে জানান ১২টায় দেখা করতে পারবেন না। উনি দিল্লির বাইরে থাকবেন। ওনার বিমান অবতরণ করবে ৫টায়। ৬টায় আমাদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন। উনি মিথ্যা কথা বলেন। আজ বিকেল ৪টেয় উনি শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন যাতে বাংলার ১০০ দিনের টাকা ও আবাসের টাকা আটকে রাখা যায়।”
এদিন সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে রীতিমতো চ্যাংদোলা করে তুলে নিয়ে যায় দিল্লি পুলিশ। রাজধানীতে একজন মহিলা সাংসদের সঙ্গে এমন ব্যবহারে হতবাক সকলে।
এই ঘটনার পর পুলিশি মাইকিং শুরু হয়েছে। কৃষিমন্ত্রকের দফতরের সামনের এলাকা ফাঁকা করে দেওয়ার ঘোষণা চলছে।
গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, একাধিক নেতার ফোন কেড়ে নেওয়া হয়েছে। মোবাইলের সুইচ অফ নেতাদের। আম্বেদকর ভবন, যেখানে তৃণমূলের সমস্ত স্তরের কর্মীরা আছেন, সেই জায়গাতেও চাপানউতর।
এদিকে অভিষেকরা দিল্লি পুলিশের হাতে আটক হতেই উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এই মুহূর্তে বহু তৃণমূল কর্মী দিল্লিতে। নেতাদের আটকের খবর আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। সেখানেও গিয়ে পৌঁছয় দিল্লি পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। পুলিশ আবেদন করতে থাকে, শান্তিপূর্ণভাবে এখান থেকে চলে যান। ছাত্র যুবদের সঙ্গে বাদানুবাদ শুরু হয়।
কৃষিভবনে তুলকালাম পরিস্থিতি। তৃণমূলের অবস্থানে পুলিশ হাজির। একে একে টেনে হিঁচড়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, শান্তনু সেন, বিরবাহা হাঁসদা, মহুয়া মৈত্রদের। একাধিক বাসে পুলিশ তৃণমূলের নেতা নেত্রীদের তুলে নিয়ে যায়। সূত্রের খবর পুলিশ লাইনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাঁদের। এই আটকের খবর সামনে আসতেই চড়ছে দিল্লির পারদ।
কৃষি ভবনে পৌঁছলেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। সঙ্গে নিয়ে গেলেন ৫০ লক্ষ চিঠি। মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবে তৃণমূল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সকালেই মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু পরে বলা হয় যে মন্ত্রী দিল্লিতে নেই। সন্ধ্যা ৬টার পর সময়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রায় ২০ লক্ষ মানুষের টাকা আটকে আছে, এই অভিযোগ তুলে দিল্লিতে প্রতিবাদ জানাচ্ছে তৃণমূল। আজ, মঙ্গলবার যন্তর মন্তরের ধরনা মঞ্চ থেকে অভিষেক জানালেন, আড়াই হাজার জব কার্ড হোল্ডারের টাকা কেন্দ্র না দিলে এবার রাজ্য সরকারকে টাকা মেটানোর কথা বলবে তৃণমূল।
বিস্তারিত পড়ুন: একমাসের বেতন দিয়ে বঞ্চিতদের টাকা মেটাবেন, দিল্লি থেকে কথা দিলেন অভিষেক
তৃণমূলের ধরনা মঞ্চে উপস্থিত হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বক্তব্য রেখেে সায়নী ঘোষ। বক্তব্য রেখেছেন ধূপগুড়ির নব নির্বাচিত বিধায়ক নির্মল চন্দ্র রায়ও।
কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে অবস্থান শুরু তৃণমূলের। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বেলা ১ টার পর যন্তর মন্তরে পৌঁছে যান তৃণমূল নেতারা। উপস্থিত রয়েছেন সাংসদ সৌগত রায়, শান্তনু সেন, রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম প্রমুখ।
যন্তর মন্তর চত্বরে ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা আটকানো হয়েছে। নেমেছে মহিলা পুলিশ বাহিনী-সহ ব়্যাফ। মোতায়েন জলকামান। যন্তর মন্তরে বেনজির নিরাপত্তা ব্যবস্থা, জনগণকে ঠেকানোর ঘুঁটি সাজাচ্ছে দিল্লি পুলিশ
বকেয়া পাওনা টাকা পেতে ইতিমধ্যে দিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন বাংলার জব কার্ড হোল্ডার-সহ তৃণমূল কর্মীবৃন্দ। ধীরে-ধীরে যন্তর-মন্তরের দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেছেন তাঁরা। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে যন্তর মন্তরে মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী। রয়েছে জল কামান এবং রায়াট কন্ট্রোল ভেহিকেল। যন্তর মন্তর রাস্তা একের পর এক ব্যারিকেড দিয়ে আটকানোর প্রস্তুতি চলছে। গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন সেনাকর্মীরা।
দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত যন্তর মন্তরে অভিষেকের নেতৃত্বে ধরনা কর্মসূচি চলবে। সেই সময়ই কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বৈঠক করবেন।
রাজ্যের বকেয়ার দাবিতে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল আজ সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে। তার আগেই শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন জ্যোতি। http://মঙ্গলে সরগরম রাজধানী, অভিষেকদের আগেই শুভেন্দুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন জ্যোতি
কেন্দ্রের বকেয়ার দাবিতে আজ দুপুর ১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত যন্তর মন্তরে সভা করবে তৃণমূল। উপস্থিত থাকবেন বাংলার জব কার্ড হোল্ডাররা। এই সভার পর সন্ধ্যা ৬টায় কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গে দেখা করবে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল।
যন্তর মন্তরে সভায় অন্য দলের যোগদান প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, “আমরা কোনও দলকে আমন্ত্রণ জানায়নি। মানুষের ন্যায্য পাওনার দাবিতেই আন্দোলন করছি। কোনও দল এই আন্দোলনে যোগ দিতে চাইলে আসতে পারে।”
জব কার্ড প্রসঙ্গে ডবল ইঞ্জিন সরকারের পরিসংখ্যান তুলে ধরে অভিষেক বলেন, “উত্তরপ্রদেশে যোগীর রাজ্যে জব কার্ড বিলি হয়েছে এক বছরে ৬০ লক্ষ, ২৪ শতাংশ। আমি মিথ্যা বললে আমার বিরুদ্ধে মামলা করুক, চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ছি।”
নতুন সংসদ ভবন নিয়ে প্রশ্ন তুলে অভিষেক বলেন, “মানুষের টাকা মেরে ১৫০০ কোটি টাকা খরচ করে নতুন সংসদ ভবন কেন করা হল? কি বিশেষ সুবিধা রয়েছে?”
যন্তর-মন্তরে সাধারণ মানুষের গায়ে হাত পড়লে ছাড়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি অভিষেকের। বলেন, “সাংসদ-মন্ত্রীদের মারুন আমরা কিছু বলব না, আমরা সহ্য করব। তবে সাধারণ মানুষের গায়ে হাত পড়লে ছেড়ে দেব না। পরিণতি ভয়ঙ্কর হবে।”
ফের দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, “সেন্ট্রাল ভিস্তা তৈরি হচ্ছে অথচ গরিব মানুষ বাড়ি পাচ্ছে না। এবার প্রধানমন্ত্রী পাল্টানোর সময় এসেছে।”
রাজঘাটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাণে মারার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই আচরণ লজ্জাজনক বলে ধিক্কারও জানান তিনি।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল সাংসদরা রাজঘাট ছেড়ে বেরিয়ে এলেও গেট বন্ধ ছিল। এদিকে, গেটের বাইরে জনগণের যথেষ্ট ভিড় ছিল। তাই জনগণের জন্য গেট খুলে দেওয়ার কথা নিরাপত্তারক্ষীদের বলেন অভিষেক। যদিও গেটের সামনে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। ফলে তাঁর অসুবিধা হতে পারে বলে জানান নিরাপত্তারক্ষীরা। জবাবে অভিষেক বলেন, “আমাকে যেখানে বলবেন আমি সরে যাব, আপনারা জনগণের জন্য গেট খুলে দিন।”
এদিন রাজঘাট চত্বরে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আজ এই রাজঘাটে দাঁড়িয়ে, দিল্লির মাটিতে দাঁড়িয়ে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়িছি, আগামিকাল লড়াই হবে। সরকারের ক্ষমতা কত আর জনগণের ক্ষমতা কত দেখা যাবে। গণতন্ত্রই শেষ কথা, আগমী দিনে এটা মানুষ প্রমাণ করে দেবে।”
কেন্দ্র বাংলার টাকা আটকে রেখেছে বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, সেটা এদিন বিজেপি স্বীকার করে নিয়েছে বলেও তোপ দাগেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বাংলার বিজেপি সাংসদরাও দিল্লিতে গিয়েছেন এবং সাংবাদিক বৈঠক করেছেন। সেখানেই বাংলার টাকা আটকে রাখার কথা বিজেপি স্বীকার করে নিয়েছে বলে অভিযোগ অভিষেকের। এপ্রসঙ্গে কটাক্ষের সুরে অভিষেক বলেন, “আজ তাঁরা (বাংলার বিজেপি সাংসদরা) বিজেপি অফিস থেকে সাংবাদিক বৈঠক করছেন। কিন্তু, রাজঘাটে এসে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করার ন্যূনতম সৌজন্য নেই।”
দিল্লি আসার বিশেষ ট্রেন, বিমান বাতিল প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, “অনেক ষড়যন্ত্র করেছে আমাদের কর্মসূচি আটকানোর।
ট্রেন বাতিল করেছে। ভেবেছিল, ট্রেন বাতিল করলে কেউ আসতে পারবে না। কিন্তু, সবাই এসেছে। বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ হয়ে মাথা উঁচু করে সবাই এসেছে। আগামিকাল যন্তর-মন্তরে বড় কর্মসূচি রয়েছে।”
রাজঘাটে ২ ঘণ্টা শান্তিপূর্ণ অবস্থান করার সময় নেওয়া হয়েছিল জানিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা রাজঘাটে ১টায় আসি। তাঁকে পুষ্প দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে ১.১০ মিনিট থেকে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করি। কিন্তু, ১০ মিনিট অন্তর পুলিশ, সিআরপিএফ, সিআইএসএফ জওয়ানরা এসে মহিলাদের অবস্থান থেকে তোলার চেষ্টা করে, তাদের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তি হয়।”
এপ্রসঙ্গে কেন্দ্রের প্রতি সুর চড়িয়ে অভিষেক বলেন, “গান্ধীজি কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়, সরকারের কেনা সম্পত্তি নয়। গান্ধীজি গোটা দেশের গর্ব। তাঁকে স্মরণ করার সকলের সমান অধিকার আছে। সকলের এই রাজঘাটে এসে বসা, গান্ধীজিকে স্মরণ করা, তাঁর পথকে পাথেয় করে অনুপ্রাণিত হওয়ার অধিকার আছে। আমরাও এসেছি তাঁকে পাথেয় করে আন্দোলন তীব্রতর করার।
আমরা কেউ শ্লোগান দিইনি। টাকা ছাড়তে হবে পোস্টার নিয়ে কর্মসূচি করেছি। শান্তিপূর্ণ অবস্থান করেছি। তারপরেও অনেক চেষ্টা করেছে আমাদের আটকানোর, আমরা ২ ঘণ্টা অবস্থান করব বলেছিলাম, তাই করেছি।”
বাঁকুড়ায় দেওয়াল চাপা পড়ে ৩ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর জন্য কেন্দ্রকেই দায়ী করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, এদের পাকা বাড়ি থাকলে এভাবে মৃত্যু হত না। এদের নাম আবাস তালিকায় ছিল। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ও গিরিরাজ সিংয়ের জেদের জন্য এদের মৃত্যু হয়েছে। ২০২১ সাল থেকে বাড়ির টাকা, রাস্তার টাকা, জলের টাকা, ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে সরকার।
রাজঘাটে ধরনা-অবস্থান থেকে উঠেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সরাসরি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “শান্তি-সাধনা, কৃচ্ছ সাধনা, জাতির জনকের সংগ্রামের প্রতীক হল রাজঘাট। ২০২১ সাল থেকে ১৫,২০০ কোটি টাকা বাংলার পাওনা রয়েছে। জোর করে টাকা আটকে রেখেছে বিজেপি সরকার। এই বকেয়ার দাবিতে আমরা এই রাজঘাট থেকে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ শুরু করছি।”
৫ মিনিটের মধ্যে রাজঘাট না ছাড়লে জোর করে তৃণমূল সাংসদদের তোলার নির্দেশ দিয়েছিল দিল্লি পুলিশ। সেই নির্দেশ মেনেই রাজঘাট থেকে বেরিয়ে এলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল সাংসদরা। কোনরকম সংঘর্ষে যাননি তাঁরা।
ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে রাজঘাট চত্বর। তৃণমূল সাংসদদের রাজঘাট থেকে ওঠার জন্য ৫ মিনিট সময় বেঁধে দিয়েছিল দিল্লি পুলিশ। ৫ মিনিটের আগেই দিল্লি পুলিশের বিশাল বাহিনী রাজঘাটে পৌঁছে গিয়েছে। নেমেছে ব়্যাফও। তৃণমূল সাংসদরা না উঠলে তাঁদের জোর করে তোলা হবে।
রাজঘাটে প্রায় ঘণ্টা দেড়েক ধরনা চলার পর তৃণমূল সাংসদদের উঠে যাওয়ার নির্দেশ দিল দিল্লি পুুলিশ। তৃণমূল সাংসদদের ৫ মিনিট সময় দেওয়া হয়েছে। পাঁচ মিনিটের মধ্যে রাজঘাট খালি না করলে, জোর করে বের করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রাজঘাটে ধরনামঞ্চে নীরবেই কালো প্যাকার্ডের উপর সাদা কালিতে দাবি তুলে ধরেছেন তৃণমূল সাংসদরা।
রাজঘাটে গিয়ে গান্ধীজিকে শ্রদ্ধা জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও সেখানে দলীয় কর্মীদের রাজনৈতিক স্লোগান দিতে বারণ করেছেন তিনি।
রাজঘাটে গিয়ে গান্ধীজির জন্মজয়ন্তীতে শ্রদ্ধা জানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
দিল্লির আম্বেদকর ভবনে তৃণমূল কর্মী এবং বাংলা থেকে আসা ‘বঞ্চিত’দের রাখার ব্যবস্থা করল তৃণমূল নেতৃত্ব। কয়েক হাজার মানুষের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে সেখানে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসা একের পর এক বাস এসে পৌঁছচ্ছে দিল্লিতে। সব বাস পৌঁছলে জমায়েত আরও বড় হবে বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বর।
রাজঘাটে বিক্ষোভের পর সংসদে যাওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে তৃণমূলের বিক্ষোভকারীদের। কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি নতুন সংসদ ভবন, এ রাজ্যের জব কার্ড হোল্ডারদের দেখাবে তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল নেতারা জব কার্ড হোল্ডারদের সামনে তুলে ধরতে চাইছেন, মোদী তাঁদের জন্য টাকা না দিয়ে সংসদ ভবন তৈরির খরচে গুরুত্ব দিচ্ছেন।
উত্তর প্রদেশ-দিল্লি সীমান্ত দিয়ে দিল্লিতে ঢুকলো প্রথম বাস। আটকানো হলো না বাস। অনায়াসে দিল্লি প্রবেশ করল আরামবাগ থেকে তৃণমূল সমর্থকদের নিয়ে আসা বাস।
ধরনা আন্দোলন কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে কেন্দ্রীয় গ্রামীণ উন্নয়ণ মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের। কিন্তু তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে গিরিরাজ দেখা করবেন কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়। রবিবার রাতে তৃণমূলের বৈঠকে উঠেছিল এই বিষয়টি। তখন সেখানে উপস্থিত অধিকাংশ জনেরই মত, গিরিরাজ সিং দেখা না করলে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার কোনও দরকার নেই। যদিও অভিষেক মনে করেছেন, প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করা উচিত।
রাজ্যের বয়েকা আদায়ের আন্দোলনে নয়াদিল্লিতে কতটা আক্রমণাত্মক হবে তৃণমূল। এ নিয়ে কিছুটা হলেও দ্বন্দ্ব দেখা গেল দলের অন্দরে। অভিষেকের উপস্থিতি রবিবার রাতের বৈঠকে নেতৃত্বের একাংশ মতে, আন্দোলন আক্রমণাত্মক করতে হবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে ধরনা অবস্থানে বসে পড়ার প্রস্তাবও উঠেছে সেই বৈঠকে। এমনকি পুলিশ বাধা দিলে জমি না ছাড়ার প্রস্তাব এসেছে। যদিও অপর পক্ষের মত, বঞ্চিতদের গায়ে হাত পড়ুক এটা ঠিক হবে না।
৩ অক্টোবরের কর্মসূচি চূড়ান্ত করতে সোমবার ফের বৈঠকে বসছে তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন হাতে গোনা কয়েক জন নেতা। সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে সেই বৈঠক হবে বলে জানা গিয়েছে তৃণমূল সূত্রে।
২ ও ৩ অক্টোবর দিল্লিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। কিন্তু ৩ তারিখে ঠিক কী কী কর্মসূচি কোথায়, কীভাবে পালন করা হবে, তা এখনও ঠিক হল না। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য রবিবার বৈঠকে বসেছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও সেখানে এ বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।
কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতিবাদে নয়াদিল্লিতে প্রতিবাদে সামিল হবে তৃণমূল। তার আগে রবিবার রাতে সাংসদ সৌগত রায়ের বাড়িতে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও দলের সব সাংসদ এবং বিধায়ক-মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন সেই বৈঠকে।