TMC Fact Finding Committee: প্রয়াগরাজে একই পরিবারের ৫ জনকে কুপিয়ে খুন, ‘রহস্যভেদ’ করতে যাচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল
UP Family Murder: প্রতিনিধি দলে থাকবেন দোলা সেন, মমতা বালা ঠাকুর সহ পাঁচজন সদস্য। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট তৈরি করবে কমিটি। সেই রিপোর্ট ফিরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেবেন তাঁরা।
প্রয়াগরাজ : যোগীরাজ্যে (UP Murder) একই পরিবারের পাঁচজনকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ। রবিবার সেই ‘রহস্যভেদ’ করতে প্রয়াগরাজে যাচ্ছে তৃণমূলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। প্রতিনিধি দলে থাকবেন দোলা সেন, মমতা বালা ঠাকুর সহ পাঁচজন সদস্য। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট তৈরি করবে কমিটি। সেই রিপোর্ট ফিরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেবেন তাঁরা।
এই বিষয়ে দোলা সেন বলেন, “আমরা চেষ্টা করব গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। পাশাপাশি চেষ্টা করব যে পরিবারের পাঁচজন মারা গিয়েছেন তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে। আমরা জানতে পেরেছি সেখানে খুব বেশি সংবাদ মাধ্যম এবং বহিরাগত যেতে পারছেন না। তাই চেষ্টা করব সেখানকার খবর আমাদের দলের কাছে এবং সারা দেশের মানুষের কাছে তুলে ধরা।”
বস্তুত, শনিবার সাতসকালেই এসেছিল মর্মান্তিক খবরটি। উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজ জেলায় একটি বাড়ি থেকে একই পরিবারের পাঁচ সদস্যের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছিল, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবেই তাদের খুন করা হয়েছে। তবে আততায়ীর হাত থেকে কোনও মতে রক্ষা পেয়েছিল ৫ বছরের একটি ছোট্ট শিশু।
উত্তর প্রদেশ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ প্রয়াগরাজের খাওয়াজপুর এলাকায় একটি বাড়িতে আগুন লাগার খবর মেলে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, রাম কুমার যাদব (৫৫), তাঁর স্ত্রী কুসুম দেবী (৫২), তাঁদের কন্যা মনীষা (২৫), পুত্রবধূ সবিতা (২৭) ও নাতনি মীনাক্ষীর (২) মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। তাঁদের অপর এক নাতনি সাক্ষী (৫)-কে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ওই দম্পতির ছেলে সুনীল (৩০) ঘটনার সময় বাড়িতে না থাকায় তিনিও বেঁচে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রত্যেকের মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছিল। মনে করা হচ্ছে, ভারী কোনও বস্তু দিয়েই তাঁদের মাথায় আঘাত করা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে দেহগুলিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে ডগ স্কোয়াড ও ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদেরও। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করার জন্য সাতটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।