কলকাতা: তৃতীয়বারের জন্য পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতা দখলের পর জাতীয় রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিকতার লক্ষ্যে বেশ কিছু রাজ্য সংগঠন বিস্তারের কথা ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) সংগঠন মজবুত করা দায়িত্ব দিয়েছিলেন মমতা। গোয়া, ত্রিপুরার মতো রাজ্যে প্রাথমিকভাবে শুরুটা ভাল হলেও মুখ থুবড়ে পড়েছে তৃণমূল। উত্তর পূর্বের আরেক রাজ্য মেঘালয়ে কংগ্রেসের ঘর ভেঙে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমাসহ ১২ জন বিধায়ককে দলে আনতে সক্ষম হয়েছিল তৃণমূল। তবে বেশ কয়েকদিন ধরে তাদের অনেকের দলবদলের গুঞ্জন জোরাল হয়েছে রাজনৈতিক শিবিরে। এই আবহে মেঘালয় সফরে যাচ্ছেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, আগামী ১৬ জুন একাধিক কর্মসূচি নিয়ে উত্তর-পূর্বের এই পাহাড়ি রাজ্যে পা রাখবেন তৃণমূলের ‘নম্বর টু’। তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকেও অভিষেকের মেঘালয় সফরের কথা জানানো হয়েছে। মে মাসেই মেঘালয়ে অভিষেকের যাওয়ার কথা থাকলেও তা বাতিল হয়ে যায়।
তৃণমূল সূত্রে খবর, একাধিক কর্মসূচি নিয়ে মেঘালয়ে যাচ্ছেন তৃণমূল সাংসদ। সে রাজ্যে দলের সাংগঠনিক অবস্থা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি সাংবাদিক বৈঠক এবং রাজ্যের দলীয় নেতাদের সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠক করবেন অভিষেক। সেরাজ্যের বিশিষ্টজনদের সঙ্গেও অভিষেকের বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। মেঘালয়ের তৃণমূল নেতাদের দলবদলের গুঞ্জনের মাঝে অভিষেকের মেঘালয় সফর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এর আগেই রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়াকে মেঘালয়ের পর্যবেক্ষক এবং বিধাননগর পুরসভার চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্তকে সহ-পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দিয়েছিল তৃণমূল। অভিষেকের মেঘালয় সফরে তারাও উপস্থিত থাকবেন বলেই তৃণমূল সূত্রে খবর। মেঘালয় সফরে তাদের দেওয়া সাংগঠনিক রিপোর্ট খতিয়ে দেখে আগামী দিনে দলকে মজবুত করতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, তা ঠিক করবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অভিষেকের মেঘালয় সফরের দিকে স্বাভাবিকভাবেই তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল। বিধায়কদের দলত্যাগ আটকানোই তৃণমূল সাংসদের কাছে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ, এমনটাই মত বিশ্লেষকদের।