আগরতলা: ফের তৃণমূল নেতার ওপর হামলার ঘটনা ঘটল ত্রিপুরায়। সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া শান্তনু সাহার ওপর হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ। আগরতলায় সদর থানা এলাকায় বাড়ি শান্তনু সাহার। সেখানে গিয়েই হামলা করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে থানা ঘেরাও এবং বিক্ষোভ কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূলের। গোলবাজার পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে শান্তনুকে উদ্ধার করে পুলিশ। আপাতত তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ত্রিপুরার তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিক বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে জনরোষ তৈরি হয়েছে। তাই রাতের অন্ধকারে এসে হামলা চালানো হচ্ছে। আমাদের যুব নেতা শান্তনু সাহার ওপর হামলা হয়েছে।
গত কয়েকদিনে একদিকে যেমন অনেকে যোগ দিয়ে ত্রিপুরায় ঘাসফুলের সংগঠন শক্তিশালী করেছে, অন্যদিকে তেমন বারবার আক্রান্ত হয়েছে তৃণমূল নেতারা। তবে সংগঠন মজবুত করার চেষ্টায় কোনও খামতি রাখছে না ঘাসফুল শিবির।
Reign of terror under @BjpBiplab!
Our state youth committee member Shantanu Saha was brutally attacked by @BJP4Tripura goons.
Peace and security of people is blatantly and repeatedly compromised in Tripura!#TripuraDeservesBetter pic.twitter.com/6rybAL8PUO
— AITC Tripura (@AITC4Tripura) October 16, 2021
কয়েক দিন আগেই সুবল ভৌমিক, সুস্মিতা দেব সহ মোট ১৯ জন সদস্যের স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। বুধবার তৃণমূলের তরফ থেকে এসেই স্টিয়ারিং কমিটি তৈরির বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকায় স্টেট কনভেনার হিসেবে নাম রয়েছে সুবল ভৌমিকের। এছাড়া সুস্মিতা দেবের কোনও বিশেষ পদ না থাকলেও তিনি সেই কমিটিতে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন তা স্পষ্ট। এই কমিটিতে একদিকে যেমন নবীণ ও প্রবীণ নেতাদের জায়গা দেওয়া হয়েছে, তেমনই গত কয়েক মাস ধরে ত্রিপুরায় যারা লড়াই করছেন সেই সব নেতা-নেত্রীদেরও জায়গা দেওয়া হয়েছে।
বাংলার পর ত্রিপুরায় সাম্রাজ্য বিস্তারে জোর দিয়েছে তৃণমূল। তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপে বাধা দিচ্ছে বিপ্লব দেবের প্রশাসন বলে বারবার অভিযোগ উঠেছে। ত্রিপুরায় গিয়ে বারবার বাধার মুখে পড়তে হয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বকে। একাধিকবার আবেদন করেও অনুমতি পাওয়া যায়নি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার। এরই মধ্যে ঘাসফুল শিবিরের নেতাদের কাছে আসছে একের পর এক নোটিস। এর আগে দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে গিয়ে আক্রান্ত হন সুদীপ রাহা, জয়া দত্ত। দেবাংশু ভট্টাভার্য, সুদীপ ও জয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। খোয়াই থানায় রাখা হয়েছিল তাঁদের। সেই খবর পেয়েই ত্রিপুরায় ছুটে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের একাধিক নেতা-নেত্রী। ছিলেন কুণাল ঘোষ, দোলা সেনও। পরে এই ইস্যুতেই বারবার নোটিস দেওয়া হয় তৃণমূল নেতাদের।
ইতিমধ্যেই ত্রিপুরার খোয়াই থানা থেকে যে মামলায় সমন পাঠানো হয়েছিল, সেই মামলার তদন্তকারী অফিসারকে কড়া চিঠি দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধেই আদালতে যাওয়ার আইনি প্রক্রিয়া শুরু করে পাল্টা চাপ বাড়িয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক।