Kakali ghosh dastidar: ‘৭ হাজার কোটি টাকা কেন দিচ্ছেন না?’ কাকলি প্রশ্ন করতেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলে উঠলেন…

kakali ghosh dastidar: এ দিন সংসদে কাকলিকে বলতে শোনা যায়, "কেন্দ্র থেকে ৬৪ বার পর্যবেক্ষককের দল গিয়েছে। সঠিক জবাব দেওয়া হয়েছে। তারপরও কেন প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্র রাজ্যের সরকারকে দিচ্ছে না?"

Kakali ghosh dastidar: ৭ হাজার কোটি টাকা কেন দিচ্ছেন না? কাকলি প্রশ্ন করতেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলে উঠলেন...
কাকলিকে কী উত্তর মন্ত্রীর?Image Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jul 29, 2025 | 10:53 PM

নয়া দিল্লি: কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে আগেই সরব হয়েছিল শাসকদল তৃণমূল। তাদের অভিযোগ, বাংলায় একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা দেওয়া হচ্ছে না। এই নিয়ে বরাবরই অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সকলেই। এমনকী অভিষেকের নেতৃত্বে দিল্লিতে বিক্ষোভ দেখানোও হয়েছে। এবার এই বঞ্চনার ইস্যুকে হাতিয়ার করে লোকসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে বাংলার বকেয়া নিয়ে পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রী রাজীব রঞ্জন সিংকে প্রশ্ন করেন সাংসদ কাকলি ঘোষ দোস্তিদার। জবাবে মন্ত্রী বাংলাকে অপমান করেছেন বলে অভিযোগ কাকলির।

এ দিন সংসদে কাকলিকে বলতে শোনা যায়, “কেন্দ্র থেকে ৬৪ বার পর্যবেক্ষককের দল গিয়েছে। সঠিক জবাব দেওয়া হয়েছে। তারপরও কেন প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্র রাজ্যের সরকারকে দিচ্ছে না?” এর জবাব দিতে এরপর ওঠেন পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রী রাজীব রঞ্জন সিং। তিনি উঠেই আগে বলেন, “এটা শিবরাজ সিং চৌহানের দেখার বিষয়। এই মন্ত্রকটা তিনিই সামলান। তবে বাংলা অন্য় নিয়মে চলে। সেখানে অন্য় কোনও নিয়ম চলে না। তাই আগে দেশের নিয়ম চালু করুন তারপর বাংলাও পাবে বকেয়া টাকা। প্রধানমন্ত্রী মোদী বাংলাকে এই দেশেরই অংশ ভাবেন।”

এরপর অধিবেশন শেষে বাইরে বের হন বারাসতের সাংসদ। তিনি বলেন, “এটাই তো সাংসদদের সুযোগ যে কোনও দফতরের কথা তাঁরা তুলে ধরতে পারেন। বাংলার গরিব মানুষ এখনও একশো দিনের কাজের টাকা পাননি। টাকার অঙ্কটা প্রায় সাত হাজার কোটি। এই নিয়ে লাগাতার আন্দোলন হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেষ্টা করেই চলেছেন যাতে টাকা দেওয়া যায়। আমি আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বললাম যে সকল শর্ত আপনারা দিচ্ছেন টাকা পাওয়ার জন্য সেই সকল শর্ত পূরণের পরও কেন আপনারা বাংলার গরিব মানুষকে বঞ্চনা করছেন? অত্যন্ত অপমান করে বললেন, বাংলা নিয়ে এখানে আলোচনা করা যায় না। ওখানে অন্য আইন চলে, বাংলা কোনও নিয়ম নীতি মানে না। সেই আইনে টাকা দেওয়া যায় না।”