
নয়া দিল্লি: লোকসভার কক্ষে অধিবেশন চলাকালীন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের মুখে শোনা গেল রাম মন্দির প্রসঙ্গ। সাংসদের এই বক্তব্য নিয়ে বিরোধীরা বিরক্ত হলেও শতাব্দী স্পষ্ট জানালেন তিনি রামের ভক্ত। ছোটবেলায় যে দিন থেকে তিনি লিখতে শিখেছেন, সে দিন থেকেই বালিশে রামের নাম লিখে ঘুমোতে যান। রাজনীতি-ধর্ম, এসব বোঝার অনেক আগে থেকেই যে তিনি রাম-ভক্তি, সোমবার সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে সে কথা উল্লেখ করেছেন শতাব্দী।
গত ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে সেই রীতিপালনের পর সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সেই মন্দির। প্রতিদিন লাইন দিয়ে মন্দিরের বাইরে অপেক্ষা করতে দেখা যাচ্ছে ভক্তদের। লোকসভায় সোমবার শতাব্দী রায় সেই প্রসঙ্গে টেনে বলেন, ‘রামলালাকে যারা আনতে পারছে, তারা মেহুল চোকসিকে আনতে পারছে না?’ তৃণমূল সাংসদের এই কথায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিজেপি সাংসদেরা।
পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শতাব্দী রায় বলেন, “চিরকাল শুনে এসেছি ভগবানা মানুষকে পৃথিবীতে এনেছে। এই প্রথম দেখলাম মানুষ ভগবানকে নিয়ে এল। তাঁরা যদি স্বয়ং রামলালাকে নিয়ে আসতে পারেন, তাহলে সামান্য মেহুল চোকসির মতো লোককে আনতে পারবে না?”
তবে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, তাঁর এই মন্তব্যে রাম মন্দিরের বিরোধিতা করা হয়নি। শতাব্দী বলেন, “রামের প্রতি আমাদের কোনও অসন্তোষ নেই। আমরা সবাই ঈশ্বর বিশ্বাসী। আমি ছোট থেকেই রাতে বালিশে রাম-সীতার নাম লিখে ঘুমোতে যাই। পরিবারের সবাই এটা করেন।”