কলকাতা: জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে ডাক পাননি রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। সেই নিয়ে চলছিল জল্পনা। এই আবহেই এবার রাজ্যসভায় আসন পরিবর্তনের আবেদন জানিয়ে চিঠি দিলেন রাজ্যসভার সাংসদ। দ্বিতীয় সারি থেকে সরে রাজ্যসভা কক্ষের পিছনের সারিতে নতুন আসনের জন্য আবেদন জানালেন সুখেন্দু। নতুন এই আসনের আবেদন জানিয়ে চেয়ারম্যানকে চিঠিও পাঠিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। তবে কি তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে চাইছেন তিনি? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে।
আরজি কর ইস্যুতে মুখ খুলেছিলেন সুখেন্দুশেখর। সেই নিয়ে কম ঝক্কি পোহাতে হয়নি তাঁকে। কখনও পোস্ট, কখনও বা গান লিখে সরব হয়েছিলেন। এর জেরে দলের অন্দরে অস্বস্তি বাড়ে। এমনকী, লালবাজারেও ডেকে পাঠানো হয় তাঁকে। তবে তৃণমূল সাংসদকে নিয়ে দলের তরফে সরাসরি কেউ কোনও মন্তব্য করেননি। এরপর গত সোমবার (২৫ নভেম্বর) তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক হয়। তবে সূত্রের খবর, জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য হওয়া সত্ত্বেও বৈঠকে যোগ দেওয়ার চিঠি পাননি তিনি। তখন থেকেই উঠছিল নানা গুঞ্জন।
এরই মধ্যে আসন বদলাতে চেয়ে তৃণমূল সাংসদের এই আবেদন নতুন করে বিতর্ক উস্কে দিয়েছে। যদিও, তৃণমূল সাংসদ চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে চলাফেরায় সমস্যা হচ্ছে। সুখেন্দু শেখরের স্থান পরিবর্তন নিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “তৃণমূলের একটা পোস্ট। বাকি সব ল্যাম্প পোস্ট। সুখেন্দুবাবু অনেক পুরনো সাংসদ। অনেক পুরনো সাংসদ। কিন্তু আরজি করের ঘটনায় উনি নিজের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ওঁকে সতর্ক করতে হয়ত পারত। তা করেনি। জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে ডাকলও না। হয়ত তৃণমূল ওঁকে চাইছে না। আর উনিও গলগ্রহ হয়ে হয়ত থাকতে চাইছেন না।”