নয়া দিল্লি: সোমবার থেকেই শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন (Parliament’s Winter Session)। তার আগেই সর্বদলীয় বৈঠকের (All Party Meeting) ডাক দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রের তরফে। অধিবেশন যাতে সুষ্ঠভাবে পরিচালন করা যায়, সেই উদ্দেশেই এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। অধিবেশনে কী কী বিষয়ে আলোচনা করা উচিত, সেই প্রসঙ্গ উঠতেই ১০টি ইস্য়ুতে সরব হল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। এরমধ্য়ে বেকারত্ব, পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহ একাধিক বিষয় রয়েছে।
কেন্দ্রায় সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী (Prahlad Joshi) এ দিন সর্বদলীয় বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছিলেন। বৈঠকে কংগ্রেস, শিবসেনা, আম আদমি পার্টি, তৃণমূল কংগ্রেস সহ একাধিক রাজনৈতিক দল উপস্থিত ছিল। বৈঠকে তৃণমূলের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Bandopadhyay) ও ডেরেক ও’ব্রায়েন (Derek O’Brian) ১০ টি বিষয়ে অধিবেশন চলাকালীন আলোচনার দাবি করেন।
তৃণমূলের তরফে যে ১০টি বিষয়ে আলোচনার দাবি করা হয়েছে, তা হল- ১. বেকারত্ব, ২. জ্বালানি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের মূল্য়বৃদ্ধি, ৩. ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য়কে আইনের অন্তর্ভুক্ত করা, ৪. যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়া, ৫. লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থাগুলিকে যে বিনিয়োগ বন্ধ করা হয়েছে, তা চালু করা, ৬. বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধি, ৭. পেগাসাস ইস্যু, ৮. করোনা পরিস্থিতি, ৯. নারী সংরক্ষণ বিল এবং, ১০. ২০১৪ সাল থেকে যে বিলগুলি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, তা বন্ধ করা।
এদিনের বৈঠকে বিরোধী দলগুলির একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। কংগ্রেসের তরফে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে থেকে শুরু করে অধীর রঞ্জন চৌধুরী ও আনন্দ শর্মা। তৃণমূলের তরফে হাজির ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডেরেক ও’ব্রায়েন। ডিএমকের তরফে উপস্থিত ছিলেন টিআর বালু ও টি শিবা। এনসিপির তরফে উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ নেতা শরদ পাওয়ার।
বাদল অধিবেশনের মতোই এবারের অধিবেশনও উত্তাল হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সোমবার, শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতেই কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পেশ করবেন। বিরোধী দলগুলিও এই বিলকে সমর্থন জানাবেন। তবে একইসঙ্গে বিরোধিতা সত্ত্বেও এই কৃষি আইন আনার জন্য কেন্দ্রের সমালোচনায় সরব হতে পারে বিরোধীরা। কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের ন্য়ূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি গ্যারান্টির দাবীতেও সরব হবে বিরোধীরা। বিগত এক বছর ধরে চলা কৃষক আন্দোলনে যে ৭০০ জন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে, তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিও তুলবে কংগ্রেস।
এদিকে, মোট ২৫টি খসড়া বিল লোকসভা ও রাজ্যসভায় পেশ করার পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের। এরমধ্যে কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল অন্যতম হলেও ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিল পেশ করা হতে পারে। আরবিআইয়ের অধীনে ডিজিটাল মুদ্রাকে আনা এবং কয়েকটি বাদে সমস্ত বেসরকারি ক্রিপ্টোকারেন্সির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে। এছাড়াও ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণ বিল নিয়ে সংসদের যুগ্ম কমিটির রিপোর্টও পেশ করা হতে পারে।