নয়া দিল্লি: দেশে তৃতীয় ঢেউ (Third Wave) অনিবার্য। চিকিৎসক, বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, অক্টোবর-নভেম্বরের মাঝামাঝি আছড়ে পড়তে পারে তৃতীয় ঢেউ। মারণ ভাইরাসের এই ঢেউ রুখতে দেশের একমাত্র ভরসা টিকাকরণ। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টিকাকরণের মাধ্যমে দেশের বড় অংশের মানুষের শরীরে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলে তবেই ভয়াবহতা এড়ান যাবে।
চিকিৎসকদের কথা অনুযায়ী, ডিসেম্বরের মধ্যে যদি দেশের ৬০ শতাংশ মানুষকে টিকা দিয়ে দেওয়া যায়, তাহলে তৃতীয় ঢেউ গভীর আঘাত হানতে পারবে না। ১৩০ কোটি নাগরিকের ৬০ শতাংশকে টিকার ২ ডোজ় দিতে হলে এখন রোজ ৮৬ লক্ষ টিকাকরণ প্রয়োজন। সেখানে ভারত দাঁড়িয়ে স্রেফ দৈনিক ৪০ লক্ষে। কোনও কোনও দিন সংখ্যাটা ১৫ লক্ষও হচ্ছে। ফলে কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছনর হার রোজ বাড়ছে।
গত রবিবার দেশে টিকা পেয়েছেন স্রেফ ১৫ লক্ষ মানুষ। অর্থাৎ সে দিন ৭১ লক্ষ টিকার ঘাটতি হয়েছে। ফলে বাড়ছে কাঙ্খিত টিকাকরণের হার। নিউ ইয়র্ক টাইমসের কোভিড ট্র্যাকার অনুযায়ী, ৭২ শতাংশ নাগরিককে টিকার প্রথম ডোজ় দিয়ে ফেলেছে মলটা, ৬৫ শতাংশকে দিয়েছে বাহরাইন, ৬৭ শতাংশকে দিয়েছে চিলি, ৭৩ শতাংশকে দিয়েছে আইসল্যান্ড, ৬২ শতাংশকে টিকা দিয়েছে ইজরায়েল, ব্রিটেনে টিকা পেয়েছেন ৬৮ শতাংশ মানুষ, কানাডায় টিকা পেয়েছেন ৬৮ শতাংশ, ৪৫ শতাংশকে টিকা দিয়ে ফেলেছে চিন।অর্থাৎ একাধিক দেশ কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছেছে।
ভারতে এ পর্যন্ত করোনা টিকা পেয়েছেন ৩৫ কোটি ২৮ লক্ষেরও বেশি মানুষ। অর্থাৎ দেশের প্রায় ৯৪ কোটি মানুষের বেশি এখনও টিকা পাননি। কেন্দ্রীয় সরকার দাবি করেছে, জুলাই মাসে দৈনিক ১ কোটি টিকাকরণ হবে। যেদিন নয়া টিকা নীতির মাধ্যমে টিকাকরণ শুরু হল, অর্থাৎ যোগ দিবস ছাড়া আর কোনওদিন ভারত ১ কোটি টিকাকরণের কাছাকাছি পৌঁছয়নি। সেক্ষেত্রে আদৌ কি কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রায় নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছন যাবে? উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: জ্বর-ব্যথা নয়, ভ্যাকসিন নিতেই দৃষ্টিশক্তি ফিরল ৭০ বছরের বৃদ্ধার