বেঙ্গালুরু: টোল প্লাজার (Toll Plaza) গেট খুলতে দেরি হয়েছিল। সেই ‘অপরাধে’ গণপিটুনির শিকার হলেন টোল প্লাজার কর্মী। তাঁকে এমনভাবে মারধর করা হয় যে শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হয় টোল প্লাজার প্রহৃত ওই কর্মীর। এখানেই শেষ নয়, তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর জখম হয়েছেন টোল প্লাজার আরেক কর্মী। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের (Karnataka) বিদাদি শহরে।
পুলিশ জানায়, মৃতের নাম পবন কুমার (২৬)। বেঙ্গালুরু দক্ষিণ তালুকের বাসিন্দা পবন রাজধানী শহর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে রামানাগারার বিদাদি শহরে একটি টোল প্লাজার কর্মী ছিলেন। রবিবার রাতে টোল প্লাজার গেট খুলতে একটু দেরি হওয়ায় গণপিটুনির শিকার হন তিনি। শেষ পর্যন্ত তাঁর মৃত্যু হয়। ওই টোল প্লাজার আরেক কর্মী তথা পবনের সহকর্মী ২৫ বছর বয়সি মঞ্জুনাথ গুরুতর আহত হয়েছেন।
ঠিক কী ঘটেছিল?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাত ১০টা নাগাদ চার ব্যক্তি একটি গাড়িতে করে মহীশূরের দিকে যাচ্ছিলেন। তাঁরা বিদাদি শহরের টোল প্লাজার কাছে পৌঁছলে সেখানকার গেট খুলতে দেরি হয় বলে অভিযোগ। এটা নিয়ে ওই টোল প্লাজার কর্মীর সঙ্গে ওই ব্যক্তিদের বচসা শুরু হয়। তারপর বচসা হাতাহাতিতে পরিণত হয়। যদিও স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে তখনকার মতো মারপিট থেমে যায়।
তবে সেই সময় হাতাহাতি থামলেও ওই ব্যক্তিদের ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি। তাঁরা টোল প্লাজা থেকে কয়েক মিটার দূরে পবনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। রাত ১২টা নাগাদ নৈশভোজ করতে পবন কুমার এবং মঞ্জুনাথ টোল প্লাজা থেকে বেরোন। তখন ওই চার ব্যক্তি মিলে তাঁদের উপর হামলা চালান। হকি স্টিক দিয়ে তাঁদের বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত হন পবন ও মঞ্জুনাথ। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় পবন কুমারের। গুরুতর জখম অবস্থায় এখনও হাসপাতালে ভর্তি মঞ্জুনাথ।
বিদাদি থানার আধিকারিক জানান, টোল প্লাজার কর্মীদের মারধরের ঘটনাটি এলাকার CCTV-তে ধরা পড়েছে। এই ঘটনায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। CCTV ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু হয়েছে।