
নয়া দিল্লি: মাংস, এমনকি মহার্ঘ্য জ্বালানির থেকেও দামি টম্যাটো (Tomato)। যেন লাফিয়ে-লাফিয়ে বাড়ছে অত্যন্ত প্রিয় এই লাল সবজির (Tomato) দাম। দিন কয়েক আগেই সেঞ্চুরি পেরিয়েছিল টম্যাটোর দাম। এবার টম্যাটোর দাম উঠেছে কেজি প্রতি ২০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা। যা স্বাভাবিকভাবেই গৃহস্থের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। বিশেষত, হরিদ্বার, গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী সহ উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) যে সমস্ত জায়গায় আমিষ একেবারে নিষিদ্ধ, নিরামিষ খাদ্যের অন্যতম প্রধান উপকরণ টম্যাটো, সেই সমস্ত জায়গায় টম্যাটোর দাম ছাড়াল ২৫০ টাকা। উত্তরাখণ্ডের পাশাপাশি দিল্লি সহ দক্ষিণের রাজ্যগুলিতেও টম্যাটোর দাম আকাশছোঁয়া।
তবে এখনও পর্যন্ত টম্যাটোর দাম সবচেয়ে বেশি উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলায়। উত্তরকাশীর এক সবজি ব্যবসায়ী জানান, টম্যাটোর দাম হু-হু করে বাড়ছে। গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রীতে টম্যাটো ২০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ফলে কেউ টম্যাটো কিনতে চাইছে না। উত্তরাখণ্ডের অন্যান্য জায়গাতেও টম্যাটোর দাম ২০০ টাকার নীচে নেই।
অন্যদিকে, রাজধানী দিল্লিতে মহার্ঘ্য পেট্রোলকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে টম্যাটোর দাম। বৃহস্পতিবারই দিল্লিতে টম্যাটোর দাম উঠেছে কেজি প্রতি ১২০ টাকা, যেখানে লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম প্রায় ৯৬ টাকা। আবার দক্ষিণের রাজ্য, তামিলনাড়ু, কর্নাটকেও টম্যাটোর দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুতে টম্যাটোর বাজার দর ছিল কেজি প্রতি ১০১ টাকা থেকে ১২১ টাকা। আবার চেন্নাইয়ে ১০০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা দরে বিকোচ্ছে টম্যাটো। কর্নাটকের একটি গ্রামে তো ইতিমধ্যে টম্যাটো লুঠও হয়েছে। সবমিলিয়ে, টম্যাটো কিনতে হাতে ছ্যাঁকা লাগছে মধ্যবিত্তের।
এদিকে, টম্যাটো দিয়ে রান্না ছাড়া মাংসের স্বাদ যেমন অসম্পূর্ণ, তেমনই নিরামিষাসীদের রান্নার অন্যতম উপকরণ এই লাল সবজি। ফলে টম্যাটো কিনতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতি সামাল দিতে তামিলনাড়ু সরকার ভর্তুকি দিয়ে রেশনে টম্যাটো দেওয়া শুরু করেছে। কিন্তু, সেক্ষেত্রেও টম্যাটোর কেজি প্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ৬০ টাকা। আর অন্যান্য রাজ্যগুলিতে তথৈবচ অবস্থা।
কেন টম্যাটোর দাম আকাশছোঁয়া?
টম্যাটোর আগুন-দামের জন্য অবশ্য আবহাওয়াকেই দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁদের মতে, অতিরিক্ত গরম, তাপপ্রবাহের জন্য ফলন ভাল হয়নি। তার ফলেই টম্যাটোর দাম অতিরিক্ত হারে বেড়েছে। খাদ্য মন্ত্রকের এক শীর্ষ আধিকারিক রোহিত কুমার সিং জানান, টম্যাটোর দাম সাধারণত জুন-জুলাই এবং তারপর অক্টোবর-নভেম্বরে বাড়ে। কম উৎপাদনের জন্যই দাম বাড়ে। তবে এবার যে দাম অতিরিক্ত বৃদ্ধি পেয়েছে, তা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।