‘Plan B, ৩৫টা বন্দুক পাঠিয়ে দিয়েছি…’, খচ্চরের সহিস সেজেই জঙ্গি আসিফ ঢুকেছিল বৈসরণে! Plan-A কী ছিল তাহলে?
J&K Terror Attack: একতা তিওয়ারি নামক এক পর্যটক মুখোমুখি হয়েছিলেন আসিফের। তাঁর সঙ্গে বচসাও হয়। তখনও তারা জানতেন না কিছুক্ষণ পর এই আসিফই গুলি করে হত্যা করবে। একতা জানান, তাঁর কাছে যখন ধর্ম জানতে চাওয়া হয়েছিল, তখনই ছবি তুলে রাখেন।

শ্রীনগর: জঙ্গল নয়, বৈসরণের মূল ফটক দিয়েই ঢুকেছিল জঙ্গিরা। পর্যটকরা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি পাশেই ঘাপটি মেরে অপেক্ষা করছিল মৃত্যু। পহেলগাঁওতে বেছে বেছে হিন্দু নিধন করা হয়েছে। গুলি চালানোর আগে জঙ্গিরা জেনেছে নাম পরিচয় ও ধর্ম। পরিচয় নিশ্চিত করতে পুরুষদের প্যান্ট খোলানো হয়। তারপরই মাথায় গুলি। জঙ্গিদের খোঁজে উপত্যকা তোলপাড় করে ফেলছে নিরাপত্তা বাহিনী। এরইমধ্যে এক জঙ্গির সম্পর্কে জানা গেল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
পহেলগাঁওয়ের হামলাকারীদের মধ্যে এক জঙ্গি আসিফ। এই আসিফ খচ্চরের সহিস সেজেছিল। এক পর্যটকের ফোনেই মিলল জঙ্গির ছবি। তিনিই জানালেন কীভাবে তাদের ধর্ম জানার চেষ্টা করা হচ্ছিল। ওই জঙ্গির কাছে লুকানো ছিল মোবাইল। সেই ফোনেই জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলছিল।
একতা তিওয়ারি নামক এক পর্যটক মুখোমুখি হয়েছিলেন আসিফের। তাঁর সঙ্গে বচসাও হয়। তখনও তারা জানতেন না কিছুক্ষণ পর এই আসিফই গুলি করে হত্যা করবে। একতা জানান, তাঁর কাছে যখন ধর্ম জানতে চাওয়া হয়েছিল, তখনই ছবি তুলে রাখেন।
তিনি বলেন, “নিরাপত্তা বাহিনী জঙ্গির যে স্কেচ প্রকাশ করেছে,তার মধ্যে একজনকে দেখেছিলাম। বৈসরণ থেকে ৫০০ মিটার আগে ওই ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হয় আমাদের। আমরা ভেবেছিলাম খচ্চরের সহিস। আমার নাম জানতে চায়, ধর্ম জানতে চায়। কোরান পড়েছি কি না, এই প্রশ্ন করে। বারবার বলে যে কোরান পড়ো, হিন্দিতেও বই আছে।”
একতা আরও বলেন, “এই সময়ই জঙ্গি আসিফের কাছে ফোন আসে। পায়ে মোজায় লুকানো ছিল ওই মোবাইল। ফোনে কথা বলার সময় আসিফ বলে, ২০ জনের গ্রুপ আসছে। ব্রেক ফেল হয়নি, প্ল্যান বি। ৩৫টা বন্দুক আমি ঘাঁটিতে পাঠিয়ে দিয়েছি, আর পুরো বাক্স পাঠাচ্ছি।”

