Abhishek Banerjee: দিল্লির কৃষি ভবনে আন্দোলনের মধ্যে আটক করা হয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhisekh Banerjee)। আটক করা হয়েছে দোলা সেন, শান্তনু সেন, মহুয়া মৈত্রদের।
Ad
আক্রমণে অভিষেক
Image Credit source: Facebook
Follow Us
কলকাতা: কৃষি ভবনে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে আটক তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। আটক করা হয় তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আটক হন দোলা সেন, শান্তনু সেনরা। আটক করার পর দিল্লি পুলিশ সোজা তাঁদের নিয়ে চলে যান পুলিশ লাইনে। সেখানেই সাংবাদিক বৈঠক করে পদ্ম শিবিরের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দাগেন অভিষেক। বলেন…
মন্ত্রী আমাদের সকালের জায়গায় সন্ধ্যাবেলা সময় দিয়েছিলেন। সে কারণে আমার কর্মসূচি পিছিয়ে ১০টার জায়গায় ১২টায় শুরু করেছিলাম। মিটিং শুরু করেছিলাম ১টায়। আমরা ৬টার সময় আজ কৃষি ভবনে এসে পৌঁছাই। আমাদের একটি কনফারেন্স হলে বসতে বলা হয়। আমরা সেখানে বসি। আমাদের কথা ছিল প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করব। যখন আমরা কৃষি ভবনে প্রবেশ করি তখন সবার নাম দেখে লিস্ট অনুযায়ী প্রবেশ করানো হয়। যাদের লিস্টে নাম ছিল শুধু তাঁদেরই ঢুকতে দেওয়া হয়। ওকানে ঢোকার পর অনেক্ষণ আমরা বসেছিলাম। আমরা বলছিলাম সন্তানহারা পিতা যাঁরা এসেছে তাঁদের যন্ত্রণার কথা মন্ত্রী শুনুন।
যতক্ষণে আমাদের সাংসদরা আমাদের দাবি নিয়ে মন্ত্রীর কাছে যান ততক্ষণে উনি পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে আমাদের অপেক্ষা করিয়ে নানা টালবাহানা করিয়ে উনি পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান।
আমাদের প্রতিনিধি দলকে দিল্লি পুলিশের অফিসার, আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ান সবাই মিলে আমাদের আটকে দেয়। আমরা সেখানেই বসে যাই। শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান চালাচ্ছিলাম। হটাৎ করে আমাদের উপর বলপ্রয়োগ করে তুলে দেওয়া হয়।
আমাদের মহিলাদেরও ছাড়া হয়নি, ভুক্তভোগী সদস্যদেরও ছাড়া হয়নি। টেনে-হিঁচড়ে আমাদের যেভাবে নিগ্রহ করা হয়েছে তা ভারতবর্ষের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে আজকের দিন কালিমালিপ্ত হয়ে থাকল।
জনজাতি মহিলা বীরবাহা হাঁসদাকে টানতে টানতে নিয়ে গিয়েছে। দোলা সেনকে ১৪-১৫ জন পুলিশ অফিসার মিলে টানতে টানতে নিয়ে গিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একাধিক পুরুষ পুলিশ অফিসারও ছিল। লোকসভার সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে চ্যাংদোলা করে নিয়ে গিয়েছে। ছবি মিথ্যা কথা বলে না। এর জবাব আগামীদিনে বাংলার মানুষ দেবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
যে ঘটনা ঘটেছে তা পুরোটাই ক্যামেরাবন্দি রয়েছে। মানুষের টাকা আটকে রেখে জমিদারি চলবে না। এই জমিদারি শাসনের অবসান কিন্তু বাংলার মানুষই ঘটাবে। মানুষ গর্জে উঠেছে, আগামীদিনে এর উত্তর বিজেপি পাবে।
আগামীদিনে আন্দোলন থামবে না। বৃবত্তর আন্দোলন আমরা করব। আজকে ৫০ লক্ষ চিঠি আমরা নিয়ে এসেছিলাম। সেই চিঠি আমরা কৃষি ভবনে নিয়ে গিয়েছিলাম। ভিডিয়োতে সেই চিঠি কীভাবে ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে।
গণতন্ত্রে মানুষ শেষ কথা বলে। আজকে যাঁরা স্বৈরাচারিতার চূড়ান্ত উদাহরণ তৈরি করে মানুষের প্রতিনিধিদের নির্যাতন করে একটা কালো অধ্যায় স্থাপন করেছেন দিল্লির বুকে, আমি মনে করি এই স্বৈরাচারি শাসনের পতন হবেই। কেউ আটকাতে হবে না।
আগামী পরশুদিন ৫ অক্টোবর রাজভবন চলোর ডাক আমরা দিল্লির মাটি থেকে দিয়ে যাচ্ছি। যাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি হয়ে গণতন্ত্র সম্পর্কে বাংলায় সকাল-বিকাল জ্ঞান দিচ্ছেন, আজকে গণতন্ত্র যেভাবে ভূলুন্ঠিত হয়েছে তাতে রাজ্যপালের দায় কেন্দ্রকে চিঠি লেখার। তাই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার জন্য আমরা সময় চাইব।