ত্রিপুরাতেও বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বড় ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর

ত্রিপুরা সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত অনির্দিষ্টকালের জন্য সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি স্কুলের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পঠনপাঠন বন্ধ রাখা হচ্ছে। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ক্লাস ক্রমানুসারে সপ্তাহে তিনদিন হবে।

ত্রিপুরাতেও বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বড় ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর
ফাইল চিত্র। ছবি:PTI
Follow Us:
| Updated on: Apr 09, 2021 | 8:38 PM

আগরতলা: বাকি রাজ্যের মতো ত্রিপুরাতেও বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। চলতি সপ্তাহেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ও উপ মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা। এই পরিস্থিতিতে স্কুল পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ সিদ্ধান্ত নিল ত্রিপুরা সরকার। অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পঠনপাঠন বন্ধ করে দেওয়া হল। পরিবর্তন আনা হল বাকি ক্লাস গুলির পঠন-পাঠনের নিয়মেও।

রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, যেহেতু শিশুরা দ্রুত করোনা সংক্রমিত হতে পারে, সেই বিষয়টি চিন্তা করেই আপাতত অনির্দিষ্টকালের জন্য সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি স্কুলের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পঠনপাঠন বন্ধ রাখা হচ্ছে। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ক্লাস ক্রমানুসারে সপ্তাহে তিনদিন হবে। অর্থাৎ তিনদিন তৃতীয় শ্রেণির ক্লাস তিনদিন হবে, সপ্তাহের বাকি তিনদিন চতুর্থ শ্রেণির ক্লাস হবে। তবে স্কুলের হস্টেলগুলি খোলাই থাকবে। পঞ্চম শ্রেণি থেকে শুরু করে বাকি শ্রেণিগুলিতে পঠনপাঠন আপাতত স্বাভাবিক নিয়মেই চলবে।

একইসঙ্গে খেলাধুলো বা কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও করা যাবে না। প্রার্থনার জন্য পড়ুয়াদের জমায়েতও বন্ধ রাখতে হবে। এই বিষয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন, “রাজ্যে আচমকাই করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে বাকি রাজ্যের তুলনায় আমাদের রাজ্যের পরিস্থিতি অনেকটাই ভাল। সতর্কতাবশেই এই নতুন নির্দেশিকা জারি করা হচ্ছে।”

আরও পড়ুন: করোনা টিকার বদলে দেওয়া হল জলাতঙ্কের টিকা! গুরুতর অসুস্থ ১ বৃদ্ধা

বৃহস্পতিবারই রাজ্য সরকারের তরফে সরকারি অফিসে অবস্থিত সমস্ত জিম, অনুষ্ঠান কেন্দ্র ও ক্রেশ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমস্ত ধরনের খেলাধুলোর প্রতিযোগিতা ও অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। সরকারি অফিসগুলিতে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা বন্ধ রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। অফিসের কোনও মিটিংয়ের ক্ষেত্রে সর্বাধিক ২০ জনের উপস্থিতি ও প্রতিটি চেয়ারের মধ্যে এক মিটার দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।