Biplab Deb: ঐক্যের বার্তা! মনোনয়ন জমা বিপ্লবের, পাশে বসে সাক্ষী মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা

TV9 Bangla Digital | Edited By: অরিজিৎ দে

Sep 12, 2022 | 2:44 PM

Biplab Deb: মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর বিপ্লবের মনে চাপা ক্ষোভ ছিল বলেই সেরাজ্যের রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল।

Biplab Deb: ঐক্যের বার্তা! মনোনয়ন জমা বিপ্লবের, পাশে বসে সাক্ষী মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা
ছবি: টুইটার

Follow Us

আগরতলা: সোমবার রাজ্যসভার সাংসদ পদের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার উপস্থিতিতে রাজ্যের একমাত্র রাজ্যসভা আসনের জন্য মনোনয়ন জমা করেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা ছাড়াও উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেব বর্মা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, রাজ্যের বিভিন্ন মন্ত্রী এবং বিধায়করাও উপস্থিত ছিলেন। বিপ্লবের বিরুদ্ধে বামেদের তরফে সিপিআইএম নেতা ভানু লাল সাহাকে প্রার্থী করা হয়েছে। সাংসদ পদ থেকে মানিক সাহার ইস্তফার পর এই আসনে উপনির্বাচন অবশ্যম্ভাবী ছিল। নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গিয়েছে, আগামী ২২ সেপ্টেম্বর এই রাজ্যসভা আসনে নির্বাচন হবে।

সোমবার বিপ্লবের মনোনয়ন পেশের সময় মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহাকে তাঁর পাশে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে, যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আগামী বছর উত্তর-পূর্বের এই ছোট রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। বিপ্লবকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে তৎকালীন রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা রাজ্যসভা সাংসদ মানিক সাহাকে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছিলেন ন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহরা। মানিকের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণের পর থেকে রাজ্যের বিপ্লব গোষ্ঠীর সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্বের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল। বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলীয় কোন্দল বিজেপির মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছিল। নির্বাচনের আগে বিপ্লবের মনোনয়ন ঘিরে এদিন ঐক্যের বার্তা দেওয়া হলে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর বিপ্লবের মনে চাপা ক্ষোভ ছিল বলেই সেরাজ্যের রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল। সম্প্রতি বিপ্লব দেবকে হরিয়ানার সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তারপর রাজ্যসভা আসনে তাঁকে প্রার্থী করা ঘোষণা বিপ্লবের মনে জমে থাকা ক্ষোভ প্রশমনের জন্যই মনে করা হচ্ছে। রাজ্যসভা নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডাকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন বিপ্লব। ২০১৮ সালে ২৫ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে ত্রিপুরাতে পদ্ম ফুটেছিল। সেই সময় রাজ্য সভাপতি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন বিপ্লব। রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে তিনি দলের প্রতি তাঁর আনুগত্যের পুরস্কার পেলেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

Next Article