আগরতলা : অভিষেকের সফরের আগে দফায় দফায় উত্তপ্ত ত্রিপুরা। দিনভর নাটকীয়তার শেষে বিকেলে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূলের যুব নেত্রী সায়নী ঘোষকে। তারপর থেকে আর হোটেলে ফেরেননি কুণাল ঘোষরা। আগরতলা পূর্ব মহিলা থানা চত্বরেই ছিলেন তৃণমূলের নেতারা। আজ সন্ধ্যায় থানার চত্বরের বাইরেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন কুণাল ঘোষ। ঠিক সেই সময়েই ফের একদল দুষ্কৃতী তৃণমূল নেতা ও কর্মীদের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতির আকস্মিকতায় থানায় ভিতরে ঢুকে যান কুণাল ঘোষরা।
এর পাশাপাশি ত্রিপুরার তৃণমূল কংগ্রেস স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক সুবল ভৌমিকের বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। তৃণমূলের অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা প্রত্যেকেই বিজেপি আশ্রিত। ত্রিপুরা তৃণমূলের তরফে দোষীদের গ্রেফতারির দাবি তোলা হয়েছে। টুইটারে তৃণমূলের তরফে লেখা হয়েছে, “ত্রিপুরায় বিজেপির দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য অব্যাহত। পৌরসভা নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর বিরোধীদের ওপর লাগাতার আক্রমণ চালানো হচ্ছে। আজ সুবল ভৌমিকের বাড়ি ভাঙচুর করল বিজেপিরর গুন্ডা বাহিনী। বিপ্লব দেব অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করুন।”
.@BjpBiplab has unleashed his terror once again!
They haven’t even spared our State Convenor @SubalAITC. His house was attacked by @BJP4Tripura goons and @Tripura_Police continues to be silent spectator!
Nothing can stop us from continuing our fight to restore democracy! pic.twitter.com/r6y5pGJQMH
— AITC Tripura (@AITC4Tripura) November 21, 2021
DEMOCRACY IS A JOKE IN TRIPURA UNDER @BJP4Tripura!
Disrespecting the Hon’ble Supreme Court, coward @BjpBiplab has once again launched the most horrific attacks on our workers and @SubalAITC‘s house.
We strongly condemn this. #ShameOnBJP pic.twitter.com/9TBzju4kOF
— AITC Tripura (@AITC4Tripura) November 21, 2021
যদিও এই দুটি অভিযোগই অস্বীকার করেছে ত্রিপুরার বিজেপি নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, সুবল ভৌমিকের বাড়িতেই একটি ছোট ক্যাম্প অফিস চালাচ্ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানেই দলের পতাকা থেকে শুরু করে অন্যান্য দলীয় পোস্টার এবং অন্য়ান্য জিনিসপত্র রাখা ছিল। সেখানেই এক দল দুষ্কৃতী চড়াও হয়। তৃণমূলের তরফে যে ছবি টুইটারে শেয়ার করা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে এক দলীয় কর্মীকে মেরে মাথা থেকে রক্ত বের করে দেওয়া হয়েছে।
ভোটের চার দিন আগে দফায় দফায় উত্তপ্ত ত্রিপুরা। পরিস্থিতির এমন যে আগামিকাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কর্মসূচি ঘিরে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। সূত্রের খবর, অভিষেকের মিছিলের অনুমতি দেওয়া হবে কি না, তা না চিন্তা ভাবনা করছে ত্রিপুরা পুলিশ। সেখানকার বর্তমান উত্তপ্ত পরিস্থিতির কথা বিচার করে মিছিলের অনুমতি বাতিল করতে পারে ত্রিপুরা প্রশাসন। যদিও এই নিয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।