‘প্রয়োজনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আসবেন’, ত্রিপুরায় গিয়ে বলল তৃণমূল
আইপ্যাকের কর্মীদের আটক করার অভিযোগ উঠেছে ত্রিপুরায়। আজই এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে ত্রিপুরায় গিয়েছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল।
আগরতলা: দিন কয়েক আগেই ত্রিপুরায় গিয়ে আটক হয়েছেন প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের সদস্যরা। অভিযোগ উঠেছে ত্রিপুরার বিজেপি শাসিত সরকারের বিরুদ্ধে। আজ ২৩ জন আইপ্যাক সদস্যের বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে মামলাও শুরু হয়েছে। আর এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে তৃণমূল। প্রশান্ত কিশোরের টিমের সদস্যদের হেনস্থার অভিযোগে তৃণমূল যে আন্দোলন গড়ে তুলবে, তা আজ সাফ জানিয়েছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। আজ ত্রিপুরায় গিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক ও ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ত্রিপুরা যাওয়ার সম্ভাবনার কথা আগেই জানিয়েছিল তৃণমূল। এ বার খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেতে পারেন বলেও জানালেন ব্রাত্য।
এ দিন আগরতলায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘আমরা দলনেত্রীর নির্দেশে এখানে এসেছি। আইপ্যাকের সদস্যদের সঙ্গেও আমরা কথা বলব। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলব। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলব। প্রয়োজনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এখানে আসবেন।’ এ দিন ত্রিপুরা সরকারের সমালোচনা করে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। ঘাসফুলশিবিরের দাবি, ভয় পেয়েই এমন কাজ করছে ত্রিপুরা সরকার। ব্রাত্য বসু বলেন, ‘সবাই বুঝে গিয়েছে যে বিজেপিকে যদি কেউ আটকাতে পারে তাহলে তিনি হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’
অন্যদিকে, রাজ্যের আর এক মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, ‘ত্রিপুরায় গণতন্ত্র নেই। সারা দেশেও এই অবস্থাই হতে চলেছে। ত্রিপুরাতেও তাই হবে।’ পাশাপাশি আইপ্যাক টিমের সদস্যের কেন হেনস্থা করা হল, সেই প্রশ্নও তুলেছেন ব্রাত্য বসু। তাঁর কথায়, ‘এই সংস্থার মাথায় প্রশান্ত কিশোর রয়েছেন বলে্ তাঁদের আটকে রাখা হল?’
এ দন সকালে বিমানবন্দরে ব্রাত্য বসু বলেন, ‘গণতান্ত্রিক দেশে যদি একজন আরেকজনের সঙ্গে দেখা করতে না পারে, তাহলে তা সাংঘাতিক।’ অন্যদিকে, গতকাল ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার আইপ্যাকের সদস্যদের আটকে রাখার কড়া নিন্দা করেছিলেন। সেই প্রসঙ্গে ব্রাত্য বসু বলেন, ‘বামেদের এই বোধোদয় যত দ্রুত হয় ততই ভালো। তবে ত্রিপুরায় বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ার শক্তি তৃণমূলেরই আছে।’ সূত্রের খবর, কয়েকদিনের মধ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও ত্রিপুরা যাবেন। আজ ব্রাত্য বসুও সে কথা জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, আইপ্যাকের এই অভিযোগ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমাদের রাজ্যে কৈলাশ জির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, যোগীজির হেলিকপ্টার নামতে দেওয়া হয়নি। প্রশাসনিক পদে থাকা বিজেপি নেতাদের আটকে দেওয়া হয়েছে। আর এখন তো করোনা পরিস্থিতিতে যে কেউ যে কোনও রাজ্যে প্রবেশ করতে পারেন না। আরও পড়ুন: মহিলা তদন্তকারীর স্রেফ ছোট্ট একটা প্রশ্নেই কুপোকাত ‘আইপিএস’ রাজর্ষি! কী সেই প্রশ্ন?