কলকাতা ও আগরতলা : ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনের এখনও এক বছর বাকি। কিন্তু তার আগেই মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়লেন বিপ্লব দেব। আর এই নিয়েই এবার খোঁচা দিতে ছাড়ছে না তৃণমূল। ত্রিপুরা মূলত বাঙালি অধ্যুষিত রাজ্য। সেখানে খুব স্লথ গতিতে হলেও সংগঠন বিস্তারের কাজ শুরু করেছে মমতার দল। ত্রিপুরায় তৃণমূলের দায়িত্বে রয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বিপ্লব দেবের ইস্তফার পর সুর চড়িয়েছেন তিনি। বললেন, “ভারতীয় জনতা পার্টির পায়ের তলার মাটি আলগা হয়ে গিয়েছে। তারা জনসমর্থন হারিয়েছে। বিপ্লব দেবের সরকার একটি ভ্রষ্টাচার, মিথ্যাচার ও ব্যাভিচারী সরকার। মানুষকে যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। এই সরকার কিছু করতে পারেনি। ”
ত্রিপুরায় বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণের সুর আরও চড়িয়ে রাজীব বলেন, “এই সরকার যে এতদিন কীভাবে টিকে রয়েছে, আমরা তাই ভাবছি। কিছুদিন আগেই তাদের উপমুখ্যমন্ত্রীর ছেলে কী কাণ্ড ঘটিয়েছে, তা আপনারা দেখেছেন। এখানে মানুষের স্বাধীনতা নেই। গণতন্ত্র নেই। দেওয়াল লিখন স্পষ্ট। ভারতীয় জনতা পার্টি ত্রিপুরা থেকে যাবে। তাই বিজেপি ভাবছে যদি মুখ্যমন্ত্রীকে সরিয়ে এই ধস ঠেকানো যায়।”
ত্রিপুরা তৃণমূলের টুইটার হ্যান্ডেল থেকেও একটি পোস্ট করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ” বিপ্লব দেবের পদত্যাগে স্পষ্ট বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার আজ ব্যর্থ। স্বৈরাচার, ভ্রষ্টাচারকে প্রাধান্য দিয়ে বিজেপি আজ নিজেদের পতনকে ত্বরান্বিত করেছে। বিপ্লব দেবের পদত্যাগে বিজেপির ধস আটকাবে না। ত্রিপুরায় সত্যিকারের পরিবর্তন আসন্ন।”
.@BjpBiplab-এর পদত্যাগে স্পষ্ট @BJP4Tripura-এর ডবল ইঞ্জিন সরকার আজ ব্যর্থ। স্বৈরাচার, ভ্রষ্টাচারকে প্রাধান্য দিয়ে বিজেপি আজ নিজেদের পতনকে ত্বরান্বিত করেছে।
বিপ্লব দেবের পদত্যাগে বিজেপির ধস আটকাবে না। ত্রিপুরায় সত্যিকারের পরিবর্তন আসন্ন। pic.twitter.com/8XVeuIzTrp
— AITC Tripura (@AITC4Tripura) May 14, 2022
উল্লেখ্য, ত্রিপুরায় তৃণমূলের সংগঠন বিস্তার করার জন্য বার বার কলকাতা থেকে আগরতলায় উড়ে গিয়েছেন কুণাল ঘোষ। অল্প অল্প করে সংগঠন বাড়িয়েছেন সেখানে। শনিবার বিকেলে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের ইস্তফার খবরে আগামী নির্বাচনে তৃণমূলের সরকার গঠনের কথাও শোনা গিয়েছে তাঁর গলায়। তৃণমূলের মুখপাত্র জানিয়েছেন, “আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ওখানে সরকার গঠন করবে। আমরা তিন মাসে ২০-২৬ শতাংশ ভোট পেয়েছি। এই বিজেপি সরকার চলবে না। ২০২৩ সালে পুরোপুরি চলে যাবে বিজেপি সরকার। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ইস্তফা দিয়েছেন। আমি জানি না, তিনি সেটা ফিরিয়ে নেবেন কি না। কিন্তু মানুষের কাছে স্পষ্ট বার্তা গিয়েছে, এই বিজেপির অভ্যন্তরে যে অশান্তি রয়েছে, তাতে একজন মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়ে তাঁরা একটি মেয়াদ শেষ করতে পারে না। কোন মুখে তারা ভোট চাইবে? বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য তৃণমূল পুরোপুরি তৈরি।”