‘অতিথি দেব ভব দর্শনেই বিশ্বাস রাখি আমরা’, আইপ্যাক-কাণ্ডে মুখ খুললেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী
Tripura: ত্রিপুরায় আটকে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের সদস্যদের। হোটেল থেকে তাঁদের বেরোতে না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
আগরতলা: ত্রিপুরায় প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের সদস্যদের আটকে থাকার ঘটনাকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিহিংসার রাজনীতি বলে তোপ দেগেছে। যদিও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব এই অভিযোগ মানতে নারাজ। তাঁর দাবি, ত্রিপুরার মানুষ অতিথিদের দেবতার চোখে দেখে। তৃণমূলের এ ধরনের দাবি একেবারেই ভিত্তিহীন।
বিপ্লব দেবের কথায়, “আমি ওনাকে (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বর্ষীয়ান রাজনীতিক হিসাবে সম্মান করি। যে-ই এই রাজ্যে আসবেন তাঁকেও সম্মান জানানো হবে। আমাদের দর্শনই হল ‘অতিথি দেব ভব’। সকলের জন্যই এই বিশ্বাস আমরা রাখি।”
তবে একই সঙ্গে বিপ্লব দেবের দাবি, “আমাদের সরকার কখনওই পুলিশের কাজে হস্তক্ষেপ করে না। আমার বিশ্বাস কারও সেটা করা উচিৎ নয়। করোনা বিধি কার্যকর রয়েছে রাজ্যে। এই অবস্থায় কোনও দলের জমায়েতই অতিমারি পরিস্থিতির জন্য হুমকি হতে পারে। এ ছাড়া আইন শৃঙ্খলার বিষয়টি এ রাজ্যে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়। এমনকী আমাদের গ্রামেও কোনও অচেনা কাউকে দেখলে তাঁর খুঁটিনাটি জিজ্ঞাসা করা হয়।”
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় আটকে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের সদস্যদের। হোটেল থেকে তাঁদের বেরোতে না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলাও রুজু করা হয়। বৃহস্পতিবারই তাঁদের আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। এদিকে এদিনই ত্রিপুরায় যায় তৃণমূলের দুই সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার ও ডেরেক ও’ব্রায়েন। কাকলির বক্তব্য ছিল, “ত্রিপুরায় সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার, অনাচার হচ্ছে। মহিলারা পুরুষ পুলিশের দ্বারা অত্যাচারিত, গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত। বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজ দেখে ত্রিপুরাবাসী চাইছেন সেখানেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাল ধরুন।” আরও পড়ুন: অসমে ফের ধাক্কা কংগ্রেসের! দল ছাড়লেন আরও এক বিধায়ক, বিজেপি যোগের জল্পনা জোরাল