Tripura Police Vs TMC: পুরভোটের আগেই সরগরম ত্রিপুরা! সকালেই তৃণমূল নেতানেত্রীদের হোটেলে পুলিশ, সায়নী ঘোষকে থানায় তলব

Tripura, AITMC: পুলিশের তরফ থেকে নিজের থানায় যাওয়ার কথা শুনে দৃশ্যতই অবাক হয়ে যান যুব তৃণমূল নেত্রী। তিনি জানতে চান তাঁর বিরুদ্ধে কী অভিযোগ? এরপরেই হস্তক্ষেপ করেন তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।

Tripura Police Vs TMC: পুরভোটের আগেই সরগরম ত্রিপুরা! সকালেই তৃণমূল নেতানেত্রীদের হোটেলে পুলিশ, সায়নী ঘোষকে থানায় তলব
থানায় সায়নী ঘোষ সহ তৃণমূল নেতৃত্ব। ছবি: নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 21, 2021 | 1:19 PM

আগরতলা: রবিবাসরীয় সকালে আবারও পুলিশ-তৃণমূল দ্বৈরথ দেখল ত্রিপুরা। পুর নির্বাচনের প্রচারে কয়েকদিন ধরেই ত্রিপুরাতে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh) সহ তৃণমূল নেতৃত্ব। ঘটনার সূত্রপাত রবিবার সকাল ১১টা নাগাদ আগরতলার (Agartala) হোটেল অ্যাপেলো টাওয়ার্সে পৌঁছয় মহিলা পুলিশের বিশাল বাহিনী। সেখানেই থাকছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh), সাংসদ সুস্মিতা দেব (Sushmita Dev), সায়নী ঘোষ সহ তৃণমূল নেতৃত্ব। হোটেল কর্মচারীদের কাছে খবর পেয়ে একে একে সেখানে এসে হাজির হন তৃণমূল নেতৃত্ব। পুলিশের কাছে তাঁরা জানতে চান হঠাই করে কী কারণে তাদের এই আগমণ। পুলিশ আধিকারিকরা জানান সায়নী ঘোষকে একবার থানায় যেতে হবে, তাঁর সঙ্গে কিছু কথা বলার রয়েছে পুলিশের।

পুলিশের তরফ থেকে নিজের থানায় যাওয়ার কথা শুনে দৃশ্যতই অবাক হয়ে যান যুব তৃণমূল নেত্রী। তিনি জানতে চান তাঁর বিরুদ্ধে কী অভিযোগ? এরপরেই হস্তক্ষেপ করেন তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। পুলিশের উদ্দেশে কুণালের প্রশ্ন, “আপনার ৪১ এ ধারায় নোটিশ এনেছেন যে সায়নীকে থানায় নিয়ে যাবেন বলছেন? নোটিশ ছাড়া সায়নীকে আমরা কোথাও যেতে দেব না। আগে নোটিশ দেখান।” এরপর মহিলা পুলিশের আধিকারিককে ফোনে কথা বলতে দেখা যায়। সম্ভবত তিনি নিজের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এরপর ওই মহিলা আধিকারিক কুণালকে জানান, নোটিশের কোনও প্রশ্ন নেই তাঁরা শুধুমাত্র সায়নীর সঙ্গে কথা বলতে চান। কুণাল বলেন, “আমরা সবে জলখাবার খেতে নীচে এসেছি। আমাদের ১৫ মিনিট সময় দিন, আমদের আইনজীবীর সঙ্গেও কথা বলে নিতে হবে। তারপর সায়নী থানায় যাবে।” খানিক বিদ্রুপের সঙ্গেই কুণাল বলেন, “আপনি ভাল করেই জানেন আমরা পালিয়ে যাওয়ার লোক নই, পুলিশ আমাদের খুঁজে না পেলে আমার পুলিশকে খুঁজে খুঁজে তাদের কাছে চলে যাই।”

সূত্রের খবর, এরপর কিছুক্ষণ নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে পূর্ব আগরতলা মহিলা থানার উদ্দেশে রওনা দেন তৃণমূল নেতৃত্ব। ফোনে টিভি ৯ বাংলাকে কুণাল ঘোষ বলেন, “পুলিশ কোনও নোটিশ দেয়নি। আমরা আইন মেনে চলা নাগরিক। সেই মত আমরা থানায় এসে পৌঁছেছি। আমাদের বক্তব্য এসডিপিও রমেশ যাদবকে জানিয়েছি। বিজেপির কথায় পুলিশ আমাদের যুবনেত্রীকে হেনস্তা করছে। সায়নীর জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। সরকারিভাবে এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের করনি পুলিশ। তবে যে অভিযোগের কথা আমরা শুনতে পারছি সেই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। ২০২৩ সালে ত্রিপুরাতে তৃণমূলের সরকার তৈরি না হওয়া অবধি আমরা কোথাও যাচ্ছি না।”

উল্লেখ্য আগামীকালই ত্রিপুরা যাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ২৫ নভেম্বরের পুর ভোটে প্রচারের অংশ হিসেবে পদযাত্রায় অংশ নেবেন তৃণমূলের নম্বর ২। বলা বাহুল্য, তার সফরের আগেই সায়নীকে তলব করায় বিজেপির বিরুদ্ধে সুর সপ্তমে তুলবেন অভিষেক। এখনও সায়নীর তলব ঘিরে ত্রিপুরা রাজনৈতিক পারদ কতটা চড়ে সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।