আগরতলা: মত্ত অবস্থায় গ্রামের তিন মহিলার সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছিল বছর ২৫-র এক যুবক। তাঁকে “উচিত শিক্ষা” দিতেই গাছে বেঁধে বেধড়ক মারধর করল গ্রামেরই ৪-৫ জন। তবে এখানেই শেষ নয়, গাছেই ঝুলিয়ে রাখা হল অভিযুক্তের মৃতদেহ। অমানবিক এই ঘটনাটি ঘটেছে ত্রিপুরা(Tripura)-র উত্তর জেলার সুব্রতনগরে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার দেবু মালাকার (২৫) নামক ওই যুবককে গ্রামের কয়েকজন গাছে বেঁধে মারধর করে। তাঁদের অভিযোগ ছিল, মদ্যপান করে তিনজন মহিলার সঙ্গে অশালীন আচরণ ও কটুক্তি করেছে ওই যুবক। ব্যপক মারধরের পর দেবু নিস্তেজ হয়ে পড়তেই তাঁরা ঘটনাস্থান ছেড়ে পালিয়ে যান। গাছে ওভাবে দেড় ঘণ্টা বাঁধা থাকে ওই যুবক। পরে তাঁর স্ত্রী ঝুলন্ত অবস্থায় দেহ উদ্ধার করে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কাঞ্চনপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
অভিযোগের ভিত্তিতেই শনিবার ত্রিপুরা পুলিশ শান্তা মালাকার ও বিপ্লব নমশুদ্র নামক দুইজনকে গ্রেফতার করে। পলাতক তিনজন মহিলা। তাঁদের খোঁজ করছে পুলিশ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেবুর বিরুদ্ধে তিন মহিলা অশালীন আচরণের অভিযোগ করলেও তাঁরা কেউই থানায় অভিযোগ দায়ের করেননি। পুলিশের তরফেও জানানো হয়, মৃত ওই যুবকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ না থাকলেও ২০২০ সালে একটি খুনের ঘটনায় মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। পরে সে জেল থেকে মুক্তিও পেয়ে যায়।
এই বিষয়ে উত্তর ত্রিপুরার পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী বলেন, “শুক্রবার অভিযোগ পাওয়ার পরই অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। শনিবার দুইজনকে তাঁদের আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। বাকিদেরও খোঁজ চলছে।” উল্লেখ্য, গত সপ্তাহের রবিবারই খোয়াই জেলায় গরুচোর সন্দেহে তিন যুবককে পিটিয়ে খুন করা হয়। গোটা ঘটনা ঘিরে শুরু হয় রাজনৈতিক চাপান-উতোর।