
নয়া দিল্লি: দেশজুড়ে কার্যকর হল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন(সিএএ)। বিজ্ঞপ্তি জারি করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সম্প্রতি জানিয়ে দিয়েছিলেন, লোকসভা ভোটের আগেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, ২০১৯-এর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্য বার বার দেশবাসীকে এও আশ্বস্ত করেছেন, কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য সিএএ নয়।
কেন্দ্রের তরফে বার বার আশ্বস্ত করার পরও আমজনতার একাংশের মনে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সংক্রান্ত বেশ কিছু বিষয়ে প্রশ্ন থেকে গিয়েছে। ২০১৯ সালে পাশ হওয়া একটি আইনের বহু প্রতীক্ষার পর অবশেষে বিজ্ঞপ্তি জারি হল। একনজরে দেখে নেওয়া যাক, কী এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন?
সিএএ কী?
২০১৯ সালে সংসদে পাশ হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল এবং তা আইনে পরিণত হয়। সিএএ আইনের মূল বিষয় হল ২০১৪ সালের মধ্যে পাকিস্তান, আফগানিস্তান কিংবা বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ ও পারসিদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া। এক্ষেত্রে শর্ত হল, তাঁদের অন্তত পাঁচ বছর ধরে ভারতে বসবাস করতে হবে, তাহলেই তাঁরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
যাঁরা ইতিমধ্যে ভারতীয় নাগরিক, তাঁদের ক্ষেত্রে?
যাঁরা ভারতীয় নাগরিক, তাঁদের জন্য সিএএ নয়। উল্লেখিত প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে আসা বিদেশি নাগরিকদের নির্দিষ্ট শর্ত পূরণে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্যই এই আইন। অর্থাৎ, যাঁদের ইতিমধ্য়ে ভারতীয় নাগরিকত্ব রয়েছে, তাঁদের সঙ্গে এর কোনও যোগ নেই। কোনও ব্যক্তি হিন্দু হোক বা মুসলিম বা অন্য কোনও ধর্মের, তিনি যদি আগে থেকেই ভারতীয় নাগরিক হন, তাহলে সিএএ-র কোনও প্রভাব তাঁর উপর পড়বে না।
সিএএ-র আবেদনের সম্ভাব্য প্রক্রিয়া কী
আবেদনকারীদের একটি অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে। কবে তিনি ভারতে প্রবেশ করেছেন, সে কথাও উল্লেখ করতে হবে সেখানে।
সিএএ-র সঙ্গে কি এনআরসি-র কোনও যোগ রয়েছে?
আপাতভাবে সিএএ-র সঙ্গে এনআরসি-র কোনও সম্পর্ক নেই। দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। সিএএ হল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। এটি হল উল্লেখিত প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে আসা হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ ও পারসিদের নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া। অন্যদিকে এনআরসি হল জাতীয় নাগরিকপঞ্জি। এটি হল ভারতের বৈধ নাগরিক শনাক্তকরণের পদ্ধতি, যা আপাতত শুধুমাত্র অসমেই হয়েছে।